দেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ এবং ঘৃণা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে তরুণ আইনজীবীদের শক্তিশালী করতে পৃথক দুটি প্রকল্পের আওতায় ৩০৪ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে জাতিসংঘ। এরই মধ্যে প্রকল্পসমূহের আওতায় বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে।
রবিবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শের-এ-বাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি সই হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশে নব নিযুক্ত জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলা চুক্তিতে সই করেন।
২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিতে কাজ করে আসছে। এর আগে প্রথম পর্যায়ে ৩৫১টি ইউনিয়ন ও দ্বিতীয় পর্যায়ে এক হাজার ৮০টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত বাস্তবায়ন করে সরকার।
এবার ৪২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশের গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক আরেকটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পে ৩১ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ডলার বা ২৬৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইউএনডিপি। স্থানীয় সরকার বিভাগের এ প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত।
প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বিচারিক অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি আইনি সেবা দিয়ে স্থানীয় সরকারের সক্ষমতা বাড়ানো। নারী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন করবে এ প্রকল্প। দেশের চার হাজার ৫৫৭টি ইউনিয়নে প্রকল্পটির কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। এরমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের চার হাজার ৪৫৭টি ইউনিয়নে প্রথমবারের মত বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
প্রতি বছর রমজান মাস এলে অনেকে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কায় প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত মজুত করে রাখেন। এতে বাজারের প্রকৃত চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ভোক্তাদের এই অতিরিক্ত চাহিদার বিষয়ে আরও সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের জন্য ‘ফেজ-২’ প্রকল্পের আওতায় ৩৫ কোটি ৮১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা দেবে ইউএনডিপি।
এ প্রকল্পের আওতায় বিচার বিভাগ, শান্তি-সহনশীলতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রচারের জন্য যুবকদের আরও শক্তিশালী করা হবে। ঘৃণা এবং মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তরুণ আইনজীবীদের ক্ষমতায়ন করে একটি গঠনমূলক সুন্দর সমাজ গড়ে তোলাই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। সুত্র: দেশরুপান্তর