রাইজিং বিডি ডটকম::
হঠাৎ কেন মেজাজ হারালেন চিত্রনায়ক ওমর সানী? কেনই-বা তিনি সপাটে চড় দিলেন জায়েদ খানের গালে? এ ঘটনার পর জায়েদ সত্যিই কি পিস্তল বের করে সিনিয়র সানীকে হুমকি দিয়েছিলেন ‘গুলি করে দেব!’
চড়-গুলির গালগল্প নিয়ে অনেক প্রশ্ন ঘুড়পাক খাচ্ছে পাঠকের মনে। সানী যেমন জোর গলায় বলছেন, তিনি বাধ্য হয়েই কাজটি করেছেন; এমনকি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। জায়েদের বিরুদ্ধে এনেছেন তার সংসার ভাঙার চক্রান্তের অভিযোগ। কোন পুরুষই-বা এ ঘটনায় চুপ থাকতে পারে!
অন্যদিকে জায়েদ খানও অভিযোগ শুনে সমান তালে আকাশ থেকে পড়ছেন! দিব্যি দিয়ে বলছেন- এসব কিছুই ঘটেনি! এমনকি যার ছেলের বিয়েতে এই কাণ্ড, সেই ডিপজলের বক্তব্যও গেছে জায়েদের পক্ষে। গণমাধ্যমে বিস্মিত কণ্ঠে রোজিনা, অঞ্জনার মতো সিনিয়ররাও গলা মিলিয়ে বলেছেন, বিয়ে বাড়িতে এতো কাণ্ড! আমরা তো কিছুই জানি না!
এ দিকে যাকে ঘিরে এতো কাণ্ড সেই মৌসুমী স্পিকটি নট! তবে আজ তিনি একটি অডিয়ো বার্তা দিয়েছেন। খোলা মনে জানিয়েছেন মতামত। আর তাতেই আরেক দফা বিস্ময় বেড়েছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের।
মৌসুমী স্পষ্ট বলেছেন, এ ঘটনায় তিনি জায়েদ খানের দোষ দেখছেন না। এটুকু ঠিকই ছিল। কিন্তু এর পরের বাক্যে এই অভিনেত্রীর বক্তব্য সরাসরি চলে গেছে ওমর সানীর বিপক্ষে। অর্থাৎ স্বামীর বিপক্ষেই বক্তব্য দিয়েছেন মৌসুমী। তিনি বলেছেন: ‘আমাকে ছোট করার মধ্যে আমাদের... যাকে আমরা অনেক শ্রদ্ধা করে আসছি সেই ওমর সানী ভাই কেন এত আনন্দ পাচ্ছেন আমি বুঝতে পারছি না। আমার কোনো সমস্যা থাকলে অবশ্যই আমার সঙ্গে সমাধান করবে, সেটিই আমি আশা করি।’
তাহলে কি মৌসুমীর সঙ্গে কথা না বলেই শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ দিয়েছেন ওমর সানী?
অডিয়ো বার্তায় সাংবাদিকদেরও সংযত ভাষায় একহাত নিয়েছেন প্রিয়দর্শিনী। বলেছেন, ‘আপনারা সাংবাদিক ভাইরা আসলে একটা নিউজ পেলে, কথা না বলেই প্রকাশ করেন। এটা ঠিক না।’
অবশ্যই মৌসুমীর সঙ্গে আলোচনা করে তার সংবাদ প্রকাশ করা উচিত। কিন্তু যে ঘটনা ঘটেছে সেখানে কি শুধু তার নামই এসেছে? সেখানে জায়েদ খান এবং ওমর সানীও জড়িত। এবং এ সংক্রান্ত প্রতিটি সংবাদে উল্লেখিত দুজনেরই মন্তব্য আছে। সুতরাং তিনি যেমন বলতে চেয়েছেন ‘বিষয়টি আমার সঙ্গে আলোচনা করে নিলে হয়তো প্রসঙ্গটা লিখতেনই না’ বিষয়টি এতো সরল নয়। বিশেষ করে যেখানে একটি লিখিত অভিযোগ রয়েছে। এবং যিনি অভিযোগ করছেন তিনি তার স্বামীও বটে!
সেই স্বামীর প্রতিই অডিয়ো বার্তায় অভিযোগের তীর ছুড়েছেন মৌসুমী। বলেছেন, ‘তিনি (সানী) আসলে এক তরফা বলেছেন, কিন্তু আমি বলেছি কিনা, আমি অভিযোগ করেছি কিনা (জায়েদের বিরুদ্ধে) জানাটা খুব বেশি জরুরি ছিল।’
স্ত্রীর এমন মন্তব্যে সানী এখন ভাবতেই পারেন- যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর! তবে আমজনতা এ ঘটনায় কি ভাবছেন সে কথাও দুজনের ভাবা উচিত ছিল। তারা এখন দুয়ে দুয়ে চার মেলাচ্ছেন। আরেক কাঠি এগিয়ে কেউ কেউ হয়তো খোলা গলায় গাইবেন- মৌসুমী কারে ভালোবাসো তুমি?
এ দিকে জায়েদ খানও কিন্তু মৌসুমীর মতোই গত দুদিন বলেছেন, ‘আমি মৌসুমী আপাকে হয়রানি ও বিরক্ত করেছি এটা তো আপাকে বলতে হবে, ওমর সানী ভাই বললে তো হবে না। উনি ছাড়া আর কেউ অভিযোগ করলে হবে না। আপনারা আপার সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য নেন।’
এ ঘটনায় বিজ্ঞ পাঠকের হয়তো মনে পড়ে যেতে পারে সেই গল্প। যে কোনো ছিচকে চোর ধরা পড়ার পর কাতর কণ্ঠে মিনতি জানায়- ভাই আমারে মাইরেন না। আমারে পুলিশে দেন