নিউজ ডেস্ক;:
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এক কিশোরের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করে ইয়াবা বের করা হয়েছে। রোববার দুপরে করা হয় এ ময়না তদন্ত। এর আগে নিহত এ কিশোর নিয়ে চলে নানা লুকোচুরি।
কক্সবাজার সদর হাসপতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সুলতান আহমদ সিরাজী জানান, পুলিশের আনা একটি মৃতদেহটি ময়না তদন্ত করে পলিথিন মোড়ানো ৫ টি ছোট্ট প্যাকেট (পুটলা) পাওয়া গেছে। যেখানে ইয়াবা রয়েছে। তবে ইয়াবা সংখ্যা তিনি বলতে পারেননি।
এ চিকিৎসক জানান, আরো ইয়াবা ছিল। যার বিষক্রিয়ায় এ কিশোরের মৃত্যু হয়।নিহত কিশোর দিলদার মোহাম্মদ (১৫) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল এলাকার ফরিদ আলমের পুত্র।শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উখিয়া উপজেলার ইনানী এলাকায় মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশ থেকে এ কিশোরের মৃতদেহটি উদ্ধার করে উখিয়া থানার পুলিশ।
উখিয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পরই ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেছে। ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা ছৈয়দ আলম জানান, এ কিশোরের মৃত্যুর পর গোপনে মৃতদেহ দাফনের চেষ্টা চালিয়ে ছিল ইয়াবা সিন্ডিকেট। পরে নিহতের পিতাকে সাথে নিয়ে তিনি ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করেন।
তিনি জানান, এ কিশোরকে নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে হ্নীলা ইউনিয়নের আলী আকবার ডেইল এলাকার গুরা মিয়ার পুত্র নুরুল আলম ও জানে আলম ইয়াবা খাওয়ায়ে পাচার করা চেষ্টা করেছিল বলে তার পিতা জানিয়েছে।
নিহতের পিতা জানান, তার ছেলে কক্সবাজার নিয়ে গিয়ে কিছু ইয়াবা বের করা হয়। অন্যান্য ইয়াবা বের করতে না পারলে তার ছেলে মৃত্যু হয়। এবং ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তার ছেলের মৃতদেহ রাস্তায় ফেলিয়ে দেয়। পরে পুলিশের কাছে অভিভাবক সেজে লাশ নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে। মৃতদেহ দাফনের পর তিনি এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানান।
সুত্র-কক্সবাজারটাইমসডটকম