এড.আবু ছিদ্দিক ওসমানী :
কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের মধ্য কাউয়ারখোপ। একটি আদর্শ শহুরে গ্রাম। গত ৪ দিন ধরে সর্বত্র একটি কথা। জলজ্যান্ত একটি মেধাবী ও নিষ্পাপ শিশু মায়া মমতার বন্ধন ছিড়ে অকালে চলে যাওয়াটাকে কেউ সহজে মেনে নিতে পারছেননা।
মসজিদে, বাজারে, স্কুলে, চায়ের দোকান, অফিসে সবখানেই একই কথা। তুমি যদি শুকতারার মত চলেই যাবে, তাহলে এত কৃতিত্ব, এত মেধার স্বাক্ষর রাখলে কেন? এত মমতা দেখালে কেন? সবার কাছে এত প্রিয় হয়ে উঠেছিলে কেন?
নিকটাত্মীয়স্বজন, শিক্ষক, সহপাঠী, শুভানূধ্যায়ীদের গগনবিদারী আতর্নাদে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। মাতা পিতার বুকফাঁটা বিলাপে আল্লাহর আরশ যেন কেঁপে উঠছে।
বুঝাতে চাইলেও বুঝানো যায়না। কেউ মানতে চায়না, ভুলতে চায়না। চলছে শোকের মাতম। যেন শোকের এক অভয়ারণ্য। আজরাইলবেশী হিংস্র ডাইনী পানির কূয়াটি যেন সবার শত্রু।
কিন্ত চিরসত্য হলো, আল্লাহ্ যা করেন সবই বান্দার মঙ্গলের জন্যই করেন। তাই, যা ঘটেছে সবই সকলের কল্যানার্থে আল্লাহতালা ঘটিয়েছেন। হ্যাঁ বলছিলাম, মেহজাবিন বিনতে মান্নান সোহা’র কথা।
গত ১১ জুলাই সোমবার সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে নাফেরার দেশে চলে গেলো কাউয়ারখোপ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির মেধাবী এই নিষ্পাপ শিশুটি।
১২ জুলাই মঙ্গলবার পূর্ব কাউয়ারখোপ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ময়দানে স্মরনকালের বিশাল জানাজার মাধ্যমে সবাই অশ্রুসজল নয়নে সোহাকে চিরবিদায় জানিয়েছেন।
মাতা পিতা, নিকটাত্মীয়স্বজন, সহপাঠীদের কাছে ”সোহা” নামক নিষ্পাপ শিশুটির হয়ত বেশী প্রয়োজন ছিল, কিন্তু সোহাকে চিরদিনের জন্য এই পৃথিবী থেকে নিয়ে যাওয়াটাকে মহান আল্লাহতালা বেশী পছন্দ করেছেন।
এটাই বাস্তবতা, এটাই চিরসত্য। আবেগী মন মানতে না চাইলেও শেষপর্যন্ত এটাই মানতে হবে। মহান আল্লাহতালা সোহাকে জান্নাতের বাগানের অংশ করে নিন। সোহা’র আত্মীয়স্বজনেক সেই বাগানের গর্বিত বাসিন্দা হওয়ার সুযোগ করে দিন, সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই শোক সইবার তৌফিক দিন। আমিন।
লেখক-অকাল প্রয়াত মেহজাবিন বিনতে মান্নান সোহা’র মামা।
পাঠকের মতামত