কক্সবাজারের উখিয়ার ব্যস্ততম স্টেশন কোর্টবাজার, উখিয়া সদর ও কুতুপালংয়ের যানজট যেন সাধারণ পথযাত্রী ও চালকদের নিত্যদিনের সঙ্গী।
রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় উখিয়ায় কাজ করছে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি এনজিও সংস্থা। এনজিও কর্মকর্তা ও কর্মীদের গাড়ি নিয়মিত যাচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায়। বেড়েছে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের দৌরাত্ম্য। সড়কের ওপর বসেছে দোকান। এছাড়া যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং। ফলে বাড়ছে যানজট। ভোগান্তিতে সাধারণ পথযাত্রীরা।
যানজট নিরসনে কাজ করতে ট্রাফিক পুলিশকে মাঝেমধ্যে দেখা মিললেও অধিকাংশ সময় থাকে অনুপস্থিত। তবে সড়কে যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা যায় কয়েকজন লাইনম্যানকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উখিয়া, কোর্টবাজার, মরিচ্যা ও সোনার পাড়া সড়কের প্রায় অর্ধেকের বেশি রয়েছে অবৈধ পার্কিংয়ের দখলে। এসব কারনেই উপজেলার বিভিন্ন স্টেশনে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অতিরিক্ত যানজটের কারনে যাত্রী ভোগান্তি সহ নষ্ট হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টার সময়।
স্থানীয়রা জানান, কোর্টবাজার ও কুতুপালং স্টেশন দুটি জনবহুল স্টেশন। কোর্টবাজারে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও কুতুপালং নেই ট্রাফিক পুলিশ। এছাড়া প্রতিটি স্টেশনেই সড়কের ওপর দোকানপাট, যত্রতত্র গাড়ির পার্কিংয়ের কারণে বেড়েছে যানজট। সড়কের ওপর থেকে দোকানপাট সরিয়ে নিলে এবং গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণ করে দিলে যানজট নিরসন করা সম্ভব বলে বলছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি উখিয়া, কুতুপালং সহ ব্যাস্ততম স্টেশনগুলোতে ট্রাফিক পুলিশ থাকলে যানজট অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করছেন তারা।
এব্যাপারে ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) জানে আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের লোকজন কম। মাত্র তিনজন কনস্টেবল নিয়ে আমরা কাজ করছি। যার কারণে কোর্টবাজার স্টেশন ছাড়া বাকী স্টেশন গুলোতে আমাদের লোকজন নেই। আমাদের লোকজন বাড়াতে পারলে উখিয়ার যানজট নিরসন কিছুটা হলেও সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান চৌধুরী বলেন, এসি ল্যান্ড রীতিমতো মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতেছে। অবৈধ পার্কিংয়ের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। যানজট নিরসনে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।