ঢাকা: প্রতিদিন ফজর এবং মাগরিবের পর লম্বা সময় নিয়ে বয়ান হয় বিশ্ব ইজতিমা। জোহর এবং আসরের পরেও ছোট বয়ান হয়। সকাল সাড়ে দশটার দিকে বিশেষ শ্রেণী বা পেশার মানুষ যেমন ছাত্র, শিক্ষক, পেশাজীবি, আলেমদের নিয়ে আলাদা আলাদা করে বয়ান হয়।
এসময় অন্যরা তালিমের মধ্যে থাকেন। বয়ান সাধারণত ভারত এবং পাকিস্তানের আলেম এবং মুরুব্বীরা করে থাকেন। তখন বয়ান উর্দুতে হয়। বাংলাতে অনুবাদ হয়। তবে বাংলাদেশের কেউ বয়ান করলে সরাসরি বাংলাতেই করেন। বিদেশি মেহমানদের জন্য এসব বয়ান তাদের ভাষায় অনুবাদ করে দেওয়া হয়। তাদের জন্য সরাসরি আলাদা বয়ানও হয়।
বয়ানের মূল উদ্দেশ্য থাকে মানুষের মধ্যে ঈমানী চেতনা এবং উম্মাতের ফিকির তৈরি করে তাদেরকে জামাতে বের হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা। তবে এক্ষেত্রেও শুধু বয়ানের দ্বারাই সবাই তৈরি হয়ে যায় না বরং পুরো ইজতিমাটাই জামাতে বের হওয়ার ও বের করার একটা মেহনত। বয়ান যার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশমাত্র।
সাথীরাও নিজেদেরকে আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে থাকেন। এভাবে পুরো পরিবেশের চেষ্টার ফলেই ইজতেমার শেষে অনেক, অনেক মানুষ জামাতে বের হয়।
PROMOTED CONTENT
by Mgid
The 9 Most Unusual Ways To Tie A Tie
herbeauty.co
শনিবার আসরের নামাজের পর বিয়ে পড়ানো হয় যা ইজতিমার অন্যতম আকর্ষণ। প্রথমে উর্দু বয়ান ও আরবি খুতবা হয়। এরপর পাত্র এবং পাত্রীর পিতা/অভিভাবক জোড়ায় জোড়ায় লাইন ধরে যান এবং একে একে সবার সামনে বিয়ে পড়ানো হতে থাকে। প্রত্যেক বছর এভাবে অনেক বিয়ে পড়ানো হয়।
ইসলাম যে যৌতুকবিহীন সহজ এবং অনাড়ম্বর বিয়ের শিক্ষা দেয়, তার একটা দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে মানুষকে ইসলামী পদ্ধতিতে বিয়েতে উৎসাহিত করাই এর উদ্দেশ্য।
ইজতিমায় মানুষ সাধারণত নিজ এলাকার মসজিদ অনুসারে এক একটা জামাত গঠন করে মাঠে থাকে এবং নিজেদের খাওয়া-দাওয়া, বিছানাপত্র, সামিয়ানা ইত্যাদির ব্যবস্থা নিজেরাই করে।
ইজতিমার মাঠের এলাকা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল অনুসারে ভাগ করে দেওয়া হয়। সবাই সে অনুসারেই মাঠে থাকেন। আর চেনার সুবিধার জন্য পুরো মাঠে পূর্ব-পশ্চিম এবং উত্তর-দক্ষিণ বরাবর খুঁটিতে নম্বর দেওয়া থাকে। খুঁটির নম্বর জানা থাকলে সহজেই যেকোন জায়গা খুঁজে বের করে ফেলা যায়। আর তাছাড়াও মাঠকে অনেকগুলো ‘খিরতা’তে ভাগ করা হয়। যেখানে এক বা একাধিক জেলা থাকে। এসব খিরতা ম্যাপ থেকে দেখে নেওয়া যায়।