মিয়ানমার গণতন্ত্রের সুবাতাস বইতে শুরু করেছিলো মাত্র, কিন্তু সু চি আর তার দলের নেতাকর্মীদের হাজতে পুরে আর শত শত মানুষ হত্যা করে জান্তা সরকারের ক্ষমতায় আসার দেড় বছর পেরিয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার স্বাদ ক্রমশ বিস্বাদে পরিণত হচ্ছে এখন পর্যন্ত।
দেশটির উত্তর, পূর্ব, পশ্চিমে জাতিগত সশস্ত্র গেরিলা সংগঠনগুলো আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি শক্তি অর্জন করেছে। যার ফল মিয়ানমার সেনা ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে প্রতিনিয়তই সংঘাত- প্রাণহানি ঘটছে। দীর্ঘদিন ধরে স্বাধিকার আন্দোলনে থাকা জাতিগত সংখ্যালঘু এসব গেরিলা গোষ্ঠীদের দমনে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তারই প্রভাব এসে পড়ছে সীমান্তের এপারে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ বলেন, আন্তর্জাতিক মিডিয়া থেকে যা বুঝা যায় তারা দাবি করছেন ৫২ শতাংশ এলাকার ওপরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নেই। আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধটা প্রকট আকার ধারণ করেছে।
Google News Channel24 অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমার আন্তর্জাতিক আইন-কূটনীতির খুব একটা ধার ধারে না তা অতীতে প্রমাণিত। তাই মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা যেন তাদের দেশের ভেতরেই সমাধান করে বাইরে নয়। এই বিষয়টি আর্ন্তজাতিকীকরণ করতে হবে বাংলাদেশকে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিকীকরণটা আরও বাড়ানো দরকার। জাতিসংঘ, নিরাপত্তা পরিষদ, সব রিজিওন্যাল ফোরামেও নেয়া দরকার। বিভিন্ন মিডিয়ার যে ফোরাম রয়েছে সেখানে নেয়া দরকার। বিভিন্ন ফোরামে যখন দ্বিপাক্ষীয় আলোচনা হয় সেখানেও নেয়া দরকার।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ বলেন, আমরা সামরিক শক্তি প্রদর্শণ করে প্রদর্শণ এবং কূটনীতিকে যদি একটা মিশ্র কৌশল গ্রহণ করি সেটিকে মিয়ানমার কতটা গুরুত্ব দেবে ওই অবস্থায় গেলে তখন বুঝা যাবে।
সমতল অংশ ছাড়া বেশিরভাগ দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কম। এসব এলাকায় সংঘাত যেভাবে বাড়ছে তাতে জান্তা সরকার আগামী বছর নির্বাচনের যে ইঙ্গিত দিয়েছে তা বেশ মুশকিল হবার প্রমাণ দিচ্ছে। চ্যানেল২৪