বিনোদন ডেস্ক::
অনিন্দ্য সুন্দরী নায়িকা সাদিকা পারভিন পপি। ১৯৯৭ সালে ‘কুলি’ ছবির মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে আবির্ভাব তার। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত এই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানী। শুরুতেই বাজিমাত। সেসময় ছবিটি ব্যবসা সফল হয়। আর এই ছবির মাধ্যমে কপাল খুলে যায় পপির।
এরপর ১৯৯৮ সালে নায়ক রিয়াজের বিপরীতে ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’, ১৯৯৯ সালে মান্নার বিপরীতে ‘কে আমার বাবা’ ও ‘লাল বাদশা’, গার্মেন্টস কন্যাসহ বহু ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। শুধু ব্যবসা সফল ছবিই নয় ‘কারাগার’ (২০০৩), ‘মেঘের কোলে রোদ’ (২০০৮) ও ‘গঙ্গাযাত্রা’ (২০০৯) এই তিনটি চলচ্চিত্রে ভালো অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।
এত সাফল্যের পরও মাঝে কোথাও যেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না দর্শকনন্দিত এই নায়িকাকে। তবে আবারও নিয়মিত হচ্ছেন পপি। তার সমসাময়িক অনেক নায়িকাই যখন ক্যারেক্টার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। কেউবা আবার অভিনয় ছেড়ে দূরে আছেন। ঠিক সেই সময় নিজের ওয়েট কমিয়ে একদম নতুন লুকে হাজির হয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন পপি।
বিরতি ভেঙে আবারও অভিনয়ে নিয়মিত হবার আভাস দিচ্ছেন পপি। ‘টার্ন’ ও ‘যুদ্ধ শিশু’ নামের নতুন দুটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। ‘যুদ্ধ শিশু’ ছবির কাহিনি মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে জন্ম নেয়া যুদ্ধ শিশুদের নিয়েই আবর্তিত হবে। দুটি ছবিই পরিচালনা করবেন শহীদুল হক খান। এর মধ্যে ‘টার্ন’ ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করবেন পপি। এতে একই সঙ্গে প্রতিবন্ধী ও বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন তরুণীর চরিত্রে তাকে দেখা যাবে। ছবি দুটি নিয়ে ভীষণ আশাবাদী পপি।
এছাড়াও এই নায়িকার ‘শর্ট কাটে বড় লোক’, ‘জীবন যন্ত্রণা’, ‘দুই ভাইয়ের যুদ্ধ’সহ আরো কিছু ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এদিকে নতুন লুকে পরিচালক-প্রযোজকদের নজর কেড়েছেন পপি। বিগত কয়েক বছরে বেশ কজন নতুন নায়িকার আগমন ঘটেছে ঢাকাই ছবিতে। কিন্তু তাদের অনেকেই সাফল্যের দেখা পাননি। অন্যদিকে পপি একজন প্রতীক্ষিত নায়িকা, আছে ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে অনেক পরিচালক-প্রযোজকই তাদের নতুন ছবিতে পপিকে নায়িকা হিসেবে চাইছেন। তবে কাজের ব্যাপারে পপিও বেশ চুজি। তিনিও মনের মতো গল্প এবং চরিত্র পছন্দ পেলেই নতুন ছবি হাতে নেবেন বলে জানিয়েছেন।