চলতি পথে পরিচয় হয় অনেকের সঙ্গে। এদের সঙ্গে আবার অনেক স্মৃতি। এই স্মৃতি জমে পাহাড় হয়ে ওঠে। সেই পাহাড়ের আড়াল থেকে হুট করে একজন উঁকি মেরে মনে ভাগ বসাতে চায়। অথচ আপনি আগেই আরেকটি মনের সঙ্গে চুক্তি সেরে রেখেছেন। হতে পারে যে প্রস্তাবটা তেড়ে এসেছে আপনার দিকে, সে প্রস্তাবটার জন্য আপনি কখনও প্রস্তুত ছিলেন না। কিংবা এটাকে নিষেধ করতে গেলেও বাধতে পারে গণ্ডগোল, কী করবেন? চলুন, জেনে নিই-
সম্পর্কে আস্কারা : এমন একটা কাজের জন্য কেউ আপনাকে ডাকল। কিংবা কেউ আপনাকে প্রপোজ করল যে কি-না আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। কিংবা তাকে আপনি সেভাবে কখনোই ভাবেননি। এ ক্ষেত্রে আপনাকে বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। তাই বলে আপনি এ সম্পর্কটাকে আস্কারা দিয়ে যাবেন না। এ নিয়ে লুকোচুরি খেলারও দরকার নেই। সময় করে নির্জনে তাকে নিয়ে বসুন। বলুন, 'আমি আসলে কখনোই তোমাকে নিয়ে এমন কিছু চিন্তা করিনি।' অথবা বলুন, 'এ বিষয়টার জন্য আমি এখনও প্রস্তুত নই।' প্রয়োজনে তাকে বুঝিয়ে বলুন সব। এভাবেই সমাধান খুঁজুন। না হয় এর দ্বারা বড় ধরনের বিপদের মুখোমুখি হতে পারেন।
নেপথ্য কারণ : আপনাদের মধ্যে যে সম্পর্ক আছে সে সম্পর্ককে বড় করে দেখুন। তাকে বলুন, 'আমাদের বোঝাপড়া ভালো হলেও চূড়ান্ত সম্পর্কে যাওয়াটা ঠিক হবে না।' তার পর সম্পর্কে না যাওয়ার কারণটা তাকে বুঝিয়ে বলুন। এতে টেনে আনতে পারেন আপনার বর্তমান সম্পর্ক কিংবা অন্য কারণ থাকলে তাও।
মাত্রা নির্ধারণ : আপনি যদি পড়াশোনার পাশাপাশি কাজে জড়িয়ে পড়েন, সে ক্ষেত্রে আপনার সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের মাত্রা নির্ধারণ করুন। কর্মক্ষেত্রে কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোটা আপনার জন্য ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে। সাধারণত এ ধরনের সম্পর্কতে রাজ্যের সমস্যা তৈরি হয়। এমনকি ব্রেকআপের পরও এ নিয়ে সমস্যার রেশ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয় না। এসব বিবেচনা করে কর্মক্ষেত্রে কোনো রকম সম্পর্কে না জড়ানোই উত্তম।
কমতে থাকা গুরুত্ব : বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কের গুরুত্ব কমতে থাকে। কিন্তু হাইস্কুলে থাকা অবস্থায় এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে সময় সম্পর্কের ক্ষেত্রেও বয়সের ব্যবধানকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এমন কেউ আছে যার সঙ্গে আপনার বয়সের অনেক ব্যবধান। তবু সে ব্যবধানে চোখ না রেখে সে যদি আপনাকে প্রস্তাব করে এবং তা যদি আপনাকে বিব্রত করে, তবে তাকে বলেই ফেলুন, 'দুঃখিত। তুমি আমার সমবয়সী হলে অবশ্যই হ্যাঁ বলে সম্পর্কটি টেনে নিয়ে যেতাম।'
অন্য প্রসঙ্গ : কিছু বদভ্যাস মানুষের গ্রহণযোগ্যতা একেবারে কমিয়ে দেয়। এমন কেউ যদি আপনার প্রতি আসক্ত হয়, তবে আপনার না বলা ছাড়া কোনো উপায় নেই। সে ক্ষেত্রে একটু সাহসী হয়ে উঠুন। 'নো, থ্যাঙ্কস'- এই বলে শুরুতেই তাকে থামিয়ে দিন। তার সঙ্গে দেখা হলে সে হয়তো এ কথা তুলতে চাইবে। আপনি ঠিক তখনই অন্য টপিকে কথা বলতে শুরু করুন।
ঝামেলার ঘনঘটা : কিছু কিছু মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো খুবই ঝামেলা মনে হতে পারে। যেমন- ছোট বোনের বান্ধবী, বড় ভাইয়ের বন্ধু, ক্লোজ বন্ধুর পুরনো প্রেমিক-প্রেমিকা, আপনার প্রতিবেশীর কাজিন ইত্যাদি। তাদের সঙ্গে যে কোনো রকম সম্পর্কে জড়ানোর আগে ভালো করে ভেবে নিন। এ ছাড়া বিভিন্নভাবে আপনি সম্পর্ককে না বলতে পারেন। কোনোভাবে নিজেকে বড় করে তোলার চেষ্টা করবেন না।