কিডনি আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থকে ছেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। কিন্তু আমাদের অনেকের মাঝে এমন কিছু অভ্যাস রয়েছে যেগুলো কিডনির জন্য ক্ষতি ডেকে আনে। যার ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর এর একমাত্র চিকিৎসা কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট। তাই আসুন আজ জেনে নেই কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করতে কোন অভ্যাসগুলো এড়িয়ে চলা উচিৎ।
পর্যাপ্ত পানি পান না করা
পানি পান করা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে এবং কিডনির স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য এটি অপরিহার্য। পর্যাপ্ত পানি পান করলে অবাঞ্ছিত বিষাক্ত পদার্থ এবং সোডিয়াম শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এছাড়াও কিডনিতে পাথর হওয়ার এবং কিডনি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
অতিরিক্ত মাংস খাওয়া
প্রাণীজ প্রোটিন উচ্চমাত্রার এসিড উৎপন্ন করে যা কিডনির জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই সমস্যাকে এসিডোসিস বলে। তাই প্রাণীজ প্রোটিনের সাথে শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়া উচিৎ।
ধূমপান
ফুসফুস ও হৃদপিণ্ডের সরাসরি ক্ষতির সাথে সম্পর্কিত ধূমপান। কিডনির উপর ও এটি প্রভাব বিস্তার করে। এর কারণ ধূমপান করলে প্রস্রাবের সাথে প্রোটিন বের হয়ে যায়। যা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ।
অ্যালকোহল
দিনে ৩-৪ গ্লাসের বেশি অ্যালকোহল পান করলে দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগ হয়। এছাড়া টোব্যাকো এবং অ্যালকোহলের সমন্বয় কিডনির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ৫ গুণ বৃদ্ধি পায়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
ফসফরাস এবং সোডিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে প্রক্রিয়াজাত খাবারে। তাই এগুলো কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
ঘুম কম হওয়া
অনেক কারণেই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে আমাদের শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়না। পরবর্তী দিনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে একজন মানুষের ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। কম ঘুমের কারণে কিডনির ক্ষতি হয়।
অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করা
লবণ সোডিয়ামে পরিপূর্ণ এবং উচ্চমাত্রার সোডিয়াম গ্রহণ করলে রক্তচাপের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। রক্ত পরিশোধন তখন অকার্যকর হয়ে যায় এবং ক্রমান্বয়ে কিডনির ক্ষতি হয়।
চিনি বেশি খাওয়া
চিনি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় এটা আমারা সবাই জানি। চিনি কিডনির কাজের উপর ও সরাসরি প্রভাব ফেলে।
ব্যায়াম না করা
ব্যায়ামের ইতিবাচক প্রভাব আছে স্বাস্থ্যের উপর। প্রতিটি অঙ্গকে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে ব্যায়াম। বিপাক এবং কর্ম শক্তি বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ব্যায়াম কিডনির কাজের ও উন্নতিতে সাহায্য করে।
প্রস্রাব আটকে রাখা
অনেকেই প্রস্রাবের বেগকে আটকে রাখেন কোন কাজের কারণে বা কোন সমস্যার কারণে। এর ফলে কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
পাঠকের মতামত