বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৩/০৯/২০২৪ ১০:১৯ এএম , আপডেট: ২৩/০৯/২০২৪ ১০:৩১ এএম

কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত প্রায় ৪ হাজার হোস্ট কমিউনিটির শিক্ষক/শিক্ষিকা ৪ দফা দাবিতে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি) কার্যালয় ঘেরাও করেছে। রোববার সকাল থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু করে তারা। এতে অনেকেই তপ্ত গরমে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

৪ দফা দাবি জানতে এখানে ক্লিক করুন

 

ক্যাম্পে কর্মরত শিক্ষকদের ৪ দফা দাবি হলো- শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করে ন্যূনতম ২২,৫০০ টাকা করা, বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদান, উৎসব ভাতা প্রদান এবং ক্লাস্টার সিস্টেম বাতিল এবং অযথা শিক্ষক ছাটাই বন্ধ করা।

আন্দোলনরত হোস্ট টিচারদের পক্ষে আছহাব চৌধুরী বলেন, ‘৪ দফা দাবি যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় আমরা গত ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মবিরতিতে আছি এবং ক্যাম্পে মুভমেন্ট করছি না। সেই সঙ্গে আমরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রকল্প অফিসে গিয়ে তাদের প্রকল্প অফিসের কাজ চলমান না রাখার আবেদন করেছি। এতে তারা আমাদের কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছেন ও লিখিতভাবে সম্মতি দিয়েছেন যে তারা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অফিসের কার্যক্রম স্থগিত রাখবেন।’

আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলেছেন, শিক্ষকরা রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ঘাম ঝরানো পরিশ্রম করে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে যাচ্ছে। দাতা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা দিন শেষে শিক্ষকদের কাজের ভিত্তিতে রিপোর্ট পেশ করে বাহবা কুড়াচ্ছে এবং মাসে মাসে তাদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করেই চলেছে। কিন্ত স্থানীয়রা ছাগলের ৩ নং বাচ্চার মত বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।

আরও বলেন, যারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোত ২০১৭ সাল হতে এ পর্যন্ত চাকরি করে আসছে তাদের যোগদানকালীন সময়ে বেতন-ভাতা দিত ১৪,৬০০ টাকা, বাড়িয়ে ২০২২ সালে ১৫, ৮০০ টাকা করা হয়েছে। আর কোন বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়নি। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে এই বেতন-ভাতা দিয়ে কারও জীবন নির্বাহ হয় না।

শিক্ষকরা জানান, ৪ দফা দাবি বাস্তবায়ন হলে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেবে। আর যদি দাবি মানা না হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নিয়ে তারা কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করার হুশিয়ারি দেন।

আন্দোলনের মাঝে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বিকেলে তাদের কয়েকজনের সাথে সংশ্লিষ্টরা বসে জানুয়ারি থেকে তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। কিন্তু লিখিত না দেয়ায় আন্দোলনকারীরা সেটি প্রত্যাহার করে নেন। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অফিস ঘেরাও করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল হোস্ট কমিউনিটির শিক্ষক/শিক্ষিকারা।

পাঠকের মতামত

পরিবারের ভাগ্য ফেরানোর স্বপ্ন চূর্ণ তানভীরের মৃত্যুতে তানভীর

মহেশখালীর পান বিক্রেতা বাদশাহ মিয়া। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর অত্যাচারে ভিটেবাড়ি হারিয়ে সপরিবারে আশ্রয় নিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ি। ...

শরনার্থী কমিশনের কার্যালয় ঘেরাও করল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্কুল শিক্ষকরা

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩২ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্কুলে চাকরিরত হোস্ট টিচারদের বেতন বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে কক্সবাজারস্থ ...

বেতন বন্ধ দুই মাস বৈষম্য মূলক নিয়োগে রামুতে ফুঁসে উঠেছে সিএইচসিপি!

ভালো নেই কমিউনিটি ক্লিনিকের চৌদ্দ হাজার স্বাস্থ্য কর্মী। ২০১১ সালে সিএইচসিপি(গ্রেড-১৪) হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রধানের ...

কক্সবাজারে মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল আমিনের ...

উখিয়া- ঘুমধুম সড়কে পুরনো ব্রিজ রেখে দায়সারা নির্মাণ!এলজিইডি নির্মিত সড়কে মরণফাঁদ

পার্বত্য উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন সাথে কক্সবাজারের উখিয়ার সংযোগ তৈরি করা কুতুপালং পূর্ব পাড়া সড়কের ...