তারেক : পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন নিয়োগে আগেরবারের মতো ‘সার্চ কমিটি’র মাধ্যমে নতুন ইসি আসছে বলে আভাস দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে।
আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, এরপর রাষ্ট্রপতি যথাসময়ে সংবিধান অনুসারে ইসি নিয়োগ দেবেন।
সংবিধানের আলোকে রাষ্ট্রপতি সবসময় সিইসি ও ইসি নিয়োগ দিলেও ২০১২ সালে সর্বশেষ কমিশন হয় সার্চ কমিটির মাধ্যমে। সে সময় প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান।
এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি নিয়োগের আভাস দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “এবারও আগের প্রক্রিয়ায় ইসি নিয়োগ হবে। ২০১২ সালে যেভাবে বর্তমান ইসি গঠন করা হয়েছিল, এবারও সেভাবেই হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সংবিধানে আইন প্রণয়নের কথা বলা হলেও গত চার দশকের বেশি সময়ে তা হয়নি।
আনিসুল হক বলেন, “সংবিধানের আলোকে আইন প্রণয়নের বিষয়টি এখনও সরকারের বিবেচনায় আসেনি; তেমন পরিকল্পনা নেই।”
সার্চ কমিটি ও সংলাপের পূর্বাপর
২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে নামের সুপারিশ তৈরি করতে চার সদস্যের সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি গঠন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান।
নির্বাচন কমিশন প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারককে সভাপতি করে গঠিত কমিটিতে সদস্য হন হাই কোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং সরকারি কর্মকমিশন চেয়ারম্যান।
এর আগে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অধিকাংশ দলই সার্চ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছিল।
ইসি গঠন নিয়ে ২২ ডিসেম্বর থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ২৩টি দলের মতামত নেন রাষ্ট্রপতি। এ সংলাপে অধিকাংশ দলই সংবিধান অনুসারে সিইসি ও ইসি নিয়োগে আলাদা আইন করা বা অনুসন্ধন কমিটির পক্ষে মত দেয়।
সার্চ কমিটির আহ্বানে আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি দল নতুন কমিশনের জন্য তাদের পছন্দের ব্যক্তির নামের তালিকা দিলেও বিএনপি দেয়নি।
কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে যে সুপারিশ জমা দেয়, তাতে সিইসি ও চার কমিশনার নিয়ে পাঁচ পদের জন্য ১০টি নাম আসে। তার মধ্যে থেকেই পাঁচজনকে বেছে নেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির আদেশের পর ২০১২ সালের ৮ ফেব্র“য়ারি সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরদিন প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ নিয়েই তারা যোগ দেন ইসিতে।
২০১১ সালের ২৯ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধন হয়। এতে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অনধিক চার নির্বাচন কমিশনার নিয়ে সর্বোচ্চ ৫ সদস্যের কমিশন গঠনের বিধানযুক্ত হয়। সূত্র- বিডিনিউজ
পাঠকের মতামত