আব্দুল মালেক, আইআইইউসি থেকে::
পাচঁ তলা ভবন থেকে ইট, পাথর, লোহা, চেয়ার, ধারালো চাপাতি ছুটে মারছে নিচে আর একজন একজন করে রক্তাক্ত হয়ে অ্যাম্বুলেন্স অথবা বাসে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হসপিটালে। কারো মাথা ফেটে রক্ত ঝরছে, আবার কারো বুকে বৃষ্টির মতো এসে পড়ছে পাথর। এভাবে চলতে থাকে বাংলাদেশীয় ছাত্রদের উপর বর্বর নির্যাতন শুক্রবার সন্ধা ৫.৩০ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। বিকেলে সেন্ট্রাল মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ঘটনাটির উৎপত্তি ঘটে। প্রতিদিনের মতো সেন্ট্রাল মাঠে ফুটবল খেলতে বাংলাদেশি, নাইজেরিয়ান, সোমালিয়ানসহ আগ্রহী খেলোয়াররা ফুটবল খেলতে মাঠে যায়। এসময় সোমালিয়ান, নাইজেরিয়ান ইসমাঈল, ইয়াছমিন, আলী,আবব্দুল্লাহ, শামশুসহ পায়ে বুট পরে খেলতে আসে। মাঠের নিয়মিত খেলোয়ার, আবির, ইসমত, মামুন, আরিফ, শৈকত, ইব্রাহীম, শান্ত, কাউছার, ইমরান, নোমাসহ অনেকেই তাদের অনুরূধ করে বলে ভাই, আপনারা পায়ের বুট খুলে ফেলুন কারণ আমরা এতে অাঘাত পেতে পারি। আমরা কেউ পায়ে বুট পরে খেলতে আসেনি। সোমালিয়ানসহ খেলতে আসা ইসমাঈল, ইয়াছমিন, আবব্দুল্লাহ, শামশুসহ বিদেশী খেলোয়াররা বলে, আমরা বুট নিয়েই খেলবো। এটি আমাদের মাঠ, এখানেই আমরা খেলবো। এই বলে বাংলাদেশি খেলোয়ারদের বলটি মাঠের বাহিরে স্যুট করে দেয় আর বলে বেরিয়া যাও তোমরা মাঠ থেকে। এক পর্যায়ে বিদেশী কালো বিড়ালদের সাথে তর্কবিতর্ক সৃষ্টি হয়। সে সময় হারুন স্যারসহ অনেকেই এসে বিষয়টি মিটমাট করে দেয়।
খেলা ১০ থেকে পনের মিনিট চলতে না চলতে হলে অবস্থানরত সোমালিয়ান, নাইজেরিয়ান, শ্রীলঙ্কানসহ ৩০/৪০ বিদেশী ছাত্ররা মাঠে এসে বাংলাদেশী ছাত্রদের উপর আক্রমণ চালাতে থাকে। স্যাররা এসে বিদেশী ছাত্রদেরকে তাদের হলে চলে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিলে এক পর্যায়ে স্যারদের উপরেও চড়াও হয়ে পড়ে সোমালিয়ান ছাত্ররা। এমনকি ২ নং হলের প্রভোষ্ট জনাব হারুন স্যারেকে গলায় দাক্কা দিয়ে বলেন হো আর ইউ?? দিবেশী শিক্ষর্থীদের ২ নং হলের ছাদের উপর উঠে ছাদের দরজা ভেঙে ইট,পাথর, চেয়ার, ধারালো চাপাতি, লোহা পাচঁ তলা ছাদ থেকে নিচের দিকে ছুটে মারলে একে একে বাংলাদেশী ৫ জন ছাত্র গুরুতর আহত হয় সোমালিয়ান ছাত্র নামক সন্ত্রাসীদের হাতে।
আহত অজ্ঞান ছাত্ররা হলোঃনোমান,বিবিএ
কাউসার শরীয়াহ,,ইমরান, ল মহসিন,ল
, রিয়াদ, ল আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেল ও ভাটিয়ারি হসপিটাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
তাদের জন্য O+, A+ প্রায় ৮/১০ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। হলের সিট চলে যাবে কিংবা ভর্তি বাতিল হবে এসবের ভয়ে বাংলাদেশী ছাত্ররা বিদেশী ছাত্রদের উপর বিন্দুমাত্রও আঘাত করার চেষ্টা করেনি।