উখিয়ার রত্না পালংয়ে প্রতিবেশীদের টয়লেটের বিষাক্ত বর্জ্য ও নোংরা পানির কারনে মৎস্য খামার ও ফলজ গাছ পালার ক্ষয়ক্ষতি সহ পরিবেশ হুমকিতে পড়েছে।
স্থানীয় আলী আহমদ মিস্ত্রি জানান, বিষাক্ত বর্জ্য থেকে মুক্তি পেতে চেয়ারম্যান মেম্বারের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ালেও কেউ সমাধান এগিয়ে আসেনি।
জানা গেছে, উপজেলা রত্না পালং উনিয়নের রত্না পালং ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ১ নম্বর ওয়ার্ডে আলী আহমদ দীর্ঘ ১২ বছর পূর্ব থেকে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে। তিনি বসত ভিটায় সুপারি বাগান বিভিন্ন ফলজ বাগানের পাশাপাশি পুকুর খনন করে মৎস্য খামার গড়ে তুলেছেন। একইভাবে পশ্চিম সীমান্তে বসবাস করছে মনমোহন বড়ুয়ার ছেলে শীলব্রত বড়ুয়া তপন বড়ুয়া রিপন ও রাজেশ বড়ুয়া।
আলী আহমদ অভিযোগ করে বলেন, শীলব্রত বড়ুয়া সহ তার অপর ভাইদের ব্যবহৃত টয়লেটের বিষাক্ত বর্জ্য ও নোংরা পানি পাইপ লাইনের মাধ্যমে পূর্ব দিকে নিষ্কাশন করে। এর ফলে বিষাক্ত নোংরা পানির কারণে সুপারি গাছ সহ বিভিন্ন ফলজ গাছের ক্ষয়ক্ষতি মৎস্য খামারে মাছের মড়ক দেখা দেয়।শুধু তাই নয় টয়লেটের নোংরা পানির দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষিত হয়ে ওঠে। অনেক সুপারি গাছ ও কলা গাছ মরে গেছে।
এলাকার কয়েকজন জানান, টয়লেটের দুর্গন্ধযুক্ত পানি অন্যদের বাগান বাড়িতে না দেয়ার জন্য বললে উল্টো শীলব্রত বড়ুয়া তার ভাইদের নিয়ে নিরীহ আলী আহমদকে অশালীন গালাগালি সহ মারধর ও হামলার চেষ্টা চালায়। বলতে গেলে শীলব্রত বড়ুয়া ও তার ভাইদের নিকট ভুক্তভোগী পরিবার জিম্মি। তারা চেয়ারম্যান মেম্বারের কথাও শোনে না।
বিষয়টি সমাধান করার জন্য, আলী আহমদ মিস্ত্রি নিরুপায় হয়ে রত্না পালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোক্তার আহমদের নিকট লিখিতভাবে সালিশ প্রদান করে। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার সুষ্ঠুভাবে সমাধান করতে পারেনি।
যোগাযোগ করা হলে মেম্বার মোক্তার আহমদ জানান, শীল ব্রত বড়ুয়া ও তার ভাইদের টয়লেটের বর্জ্য ও নোংরা পানি পার্শ্ববর্তী বসবাসরত আলী আহমদ মিস্ত্রির বাগানে নির্গত হওয়ার বিষয় নিয়ে আমরা একাধিক বার সালিশী বৈঠকে বসেছি।
মেম্বার সেলিম উদ্দিন বলেন রাত্নাপালং চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমি সহ অপর মেম্বার আবুল হাসানাত চৌধুরী আবুলু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাস্তব পরিস্থিতি আমরা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।
ভুক্তভোগী আলী আহমদ মিস্ত্রি অভিযোগ করে বলেন, শীলব্রত বড়ুয়া ও তার ভাইদের ব্যবহৃত টয়লেটের বিষাক্ত নোংরা পানির কারণে ফলজ বাগানের যেমন অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি মৎস্য খামারে মাছ চাষও করা যাচ্ছে না। এছাড়া দিন দিন পরিবেশ দূষিত হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে সংকলিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত পক্ষের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি
পাঠকের মতামত