রমজান এলে যে শুধু বড়রা রোজা থাকা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তা নয়, বরং কিশোর-কিশোরীদের মাঝে রোজা থাকার ঝোঁকটা আরও বেশি দেখা যায়। তাই তাদের ক্ষেত্রে রোজা রাখা কতখানি উপকারী বা স্বাস্থ্যগত কী কী উপকারীতা রয়েছে, তা নিয়ে আমাদের আজকের পরামর্শ।
যদিও কিশোর-কিশোরীদের খাদ্যের চাহিদাটা অনেক বেশি থাকে, তারপরও কিছু কিছু দিক থেকে রোজা তাদের জন্য সুফল বয়ে আনে। যেমন— অনেকের ফাস্টফুডের প্রতি একটু বেশি আসক্তি থাকে। দেখা যায়, তারা পরিবারের সবাইকে ফাঁকি দিয়ে দিনের বেলা তা বেশি খায়। আর রোজা থাকলে এই সম্ভাবনা কমে যায়। ফলে সে মুটিয়ে যাওয়া এবং আরও অনেক রোগ থেকে রক্ষা পায়।
রোজা যে শুধু শারীরিক সুস্থতার সাথে জড়িত তা নয়, এর সাথে মানসিক স্বাস্থ্যরও একটা যোগ আছে। এতে আত্মশুদ্ধি হওয়া যায়। আর মন ভালো থাকলে শরীরটাও ভালো থাকবে। রোজা তাদেরকে আরও মনোযোগ বাড়াতে এবং আত্মনির্ভশীল করতে সহায়তা করবে। এছাড়া সুন্দর পারিবারিক শিক্ষা বা এর চর্চা তাকে সুস্থ এবং সুশৃঙ্খল জীবন যাপনে সাহায্য করবে।
কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা অনেক সময় সাহরী না খেয়েই রোজা রাখতে চায়। এটা কোনো ভাবেই হতে দেওয়া যাবে না। কারণ, সারা দিন তাদেরকে স্কুল, প্রাইভেট, এক্সট্রা কারিকুলাম কাজে অনেক সময় দিতে হয়। তাই বাবা-মাকে খুব সচেতন ভাবে এটা খেয়াল রাখতে হবে।
শুধু সাহরী নয়, ইফতারে শরবত, জ্যুস, পানি, ফল খাচ্ছে কিনা সে ব্যাপারেও বাবা-মা খেয়াল রাখবেন। এছাড়া রাতের খাবারে এবং সাহরীতে পরিমাণ মতো শাকসবজি, প্রোটিনের ব্যবস্থাও তার জন্য রাখতে হবে। কারণ, রোজা থাকলেও তার শারীরিক বৃদ্ধির বিষটিও তো সব সময় মাথায় রাখতে হবে।
কিছু কিছু কিশোর-কিশোরীকে দেখা যায়, কম বয়সেই অনেক বেশি মোটা। তাদের জন্য রোজা ওজন কমাতে সাহায্য করবে। যদি সে সঠিক খাদ্যাভাস মেনে চলে এবং রোজার পরও রোজার রুটিন কিছুটা ধরে রাখে।
ডা. নয়নমনি সরকার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল