হাফেজ মাওলানা মুফতী রিদওয়ানুল কাদির::
ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম ফরজ ইবাদত হলো সওম বা রোজা পালন করা।
রাব্বে কারিম রমজান মাসে সিয়াম পালনকে আমাদের উপর অত্যাবশ্যকীয় করে দিয়েছেন। এই মাসের আরেকটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এই যে এই মাসে অবতীর্ণ হয়েছে কুরআনুল কারিম, যা বিশ্ববাসীর জন্য হেদায়াত এবং নিদর্শন ও সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী বিধান গ্রন্থ।
আসুন আমরা রোজার কিছু বিধিবিধান নিয়ে আলাপ করি:
রোযার বিধান ও মাসায়েলঃ
প্রত্যেক মুসলমানের উপর রমযানের রোযা ফরয।
কুরআন হাদীসের সাথে সাথে ইজমা তথা উম্মতের সর্বসম্মত মত এবং কিয়াস তথা যুক্তির আলোকেও রোযা ফরয হওয়াটা প্রমাণিত। অতএব যদি কোন ব্যক্তি রোযা ফরয হওয়াকে অস্বীকার করে তাহলে সে সসন্দেহাতীতভাবে কাফের হয়ে যাবে। (১)
রোযার পরিচয়:
রোযার আরবী শব্দ হল সাওম, যার আভিধানিক অর্থ হল -বিরত থাকা।
আর রোযার নিয়তে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার এবং যৌনাচার থেকে বিরত থাকাকে শরীয়তের পরিভাষায় রোযা বলা হয়। (২)
রোযা ফরজ হওয়ার কিছু শর্তঃ
কোন ব্যক্তির উপর রোযা ‘ফরজ’ হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে। সেগুলো হলো যথাক্রমে-
১. মুসলমান হওয়া, সুতরাং কাফেরের উপর রোযা ফরজ নয়।
২. বিবেকবান হওয়া, সুতরাং পাগলের উপর রোযা ফরজ নয়।
৩. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া, সুতরাং নাবালেগের উপর রোযা ফরজ নয়। (৩)
রোজা কেন ফরজ করা হলো?
নিজ কু-প্রবৃত্তিকে দমন ও আত্মশুদ্ধির সর্বোত্তম মাস হলো রমজান।
প্রথমত সিয়াম সাধনায় আল্লাহর নির্দেশ পালন করা হয়।
দ্বিতীয়, রোজা দ্বারা সংযমী হওয়া যায়।
তৃতীয়, রোজা দ্বারা অতীতের গুনাহসমূহ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
পারতপক্ষে আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের সর্বোত্তম পন্থা হলো সিয়াম সাধনা।
রাব্বে কারিম ইরশাদ করেন:
“হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।” (৪)
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, রোযা কেবল আমার জন্য, আমি নিজেই তার
প্রতিদান দেব । (৫)
রোযার প্রতি প্রেরণা দিয়ে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ করেন:
সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রা:) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
যে ব্যক্তি ঈমানী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে পরকালীন প্রতিদান কামনায় রমযানের রোযা রাখবে তার অতীত জীবনের সকল পাপ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (৬)
সিয়াম সাধানার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি হালাল খাদ্য ও পানীয়কে আল্লাহর নির্দেশের কারণে বর্জন করে প্রবৃত্তির অনুসরণ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করে।
সেই সাথে তারাবীহ, তাহাজ্জুদ, দান-সদকাহ, কুরআন তিলাওয়াতসহ অন্যান্য ইবাদত করার মাধ্যমে তার আত্মার পরিশুদ্ধতা অর্জিত হয়।
রমাজানুল মুবারককে আমরা কিভাবে মহিমান্বিত করতে করতে পারি, তথা এই পবিত্র মাসে আমাদের জন্য কী কী করণীয় রয়েছে, তা নিম্নে সংক্ষিপ্তাকারে সন্নিবেশিত করা হলো।
পবিত্র রমজান মাসে হাদিসে উল্লেখিত কতিপয় আমল দ্বারা আমরা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারি : সেগুলো হল:
১. আল্লাহর সন্তুষ্টি ও রহমত লাভের উদ্দেশ্যে সিয়াম সাধনা করা:
হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, আল্লাহর রাসূল সা. বলেছেন, যখন রমজান মাস আসে, আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়।
অপর বর্ণনায় রয়েছে বেহেশতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, দোযখের দরজাসমূহ বন্ধ করা হয় এবং শয়তানকে শৃংখলিত করা হয়। অপর বর্ণনায় আছে, রহমতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। [৭]
রমজান মাসে যেহেতু বেহেশতের ও রহমতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় সেহেতু রোজা রেখে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাঁর রহমতের আশা করব।
২. মুখ ও জিহ্বাকে সংযত রাখাঃ
পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি নিজের মুখ ও জিহ্বাকে সংযত রাখতে হবে।
মিথ্যা, অশ্লীল কথাবার্তা, গালিগালাজ, গীবত, পরনিন্দা, অভিশাপ দেয়া ও চোগলখোরীসহ অন্যান্য অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। হাদিসে এসেছে-
অবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও মিথ্যা কর্ম পরিত্যাগ করেনি, তার পানাহার ছেড়ে দেয়াতে আল্লাহর কোন কাজ নেয়। [৮]
৩. নিয়মিত তারাবীহ এর নামাজ আদায় করাঃ হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সা. রমজান মাসের নামাজ কায়েম করার জন্য উৎসাহ দান করতেন; কিন্তু তিনি এ বিষয়ে খুব তাকীদ করতেন না। বরং এরূপ বলতেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের নিয়তে রমজান মাসে নামায কায়েম করবে তার পূর্ববর্তী (সগীরা) গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে। [৯]
৪. কুরআন তিলাওয়াত করা :
নফল ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত হলো কুরআন তিলাওয়াত করা।
যেমন হযরত নুমান বিন বাশির রা. হতে বর্ণিত নবী করীম সা. ইরশাদ করেন -
আমার উম্মতের সবচেয়ে উত্তম ইবাদত হলে কুরআন তিলাওয়াত করা। [১০]
অন্য হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি রমজান মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে একটি নফল কাজ করবে সে ঐ ব্যক্তির সমান হলো যে, অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল। [১১]
সুতরাং রমজান মাসে কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আমরা অধিকতর সওয়াবের অধিকারী হবো।
৫. বেশি করে দান-সদকাহ করাঃ
মহান আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন-
যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ একটি বীজের মতো, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে একশ করে দানা থাকে। আর আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা করেন (সওয়াবে) কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেন। আল্লাহ অতি প্রাচুর্যময় (এবং) সর্বজ্ঞ। [১২]
৬. নিজে ইফতার করার পাশাপাশি রোজাদারদের ইফতার করানো।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,
হযরত যায়েদ বিন খালেদ জুহানী রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করালো তাকে রোজাদারের অনুরূপ সওয়াব দান করা হবে। কিন্তু রোজাদারের সওয়াবের কোন কমতি হবে না। [১৩]৭. ইফতারের পূর্বে ও ইফতারের সময় দোয়া করা।
হযরত আনাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. যখন ইফতার করতেন নিম্নের দোয়াটি পড়তেন : হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমার রিজিক দিয়ে ইফতার করছি। তুমি আমার এই রোজাকে কবুল কর। নিশ্চয় তুমি সর্বজ্ঞ, সর্বশ্রোতা। [১৪]
৮. খেজুর অথবা পানি দিয়ে ইফতার করা।
হযরত সালমান আমের রা. বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ ইফতার করে সে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে, কেননা এতে বরকত রয়েছে। যদি খেজুর না পায়, তবে যেন পানি দ্বারা ইফতার করে, এটি পবিত্রকারী। [১৫]
৯. সেহরী খেয়ে রোজা রাখা।
সেহেরী খাওয়া সুন্নত।
সেহেরী খেয়ে রোজা রাখার মধ্যে বরকত নিহিত রয়েছে।
হাদিস শরীফে এসেছে-
আনাস বিন মালেক রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন- তোমরা সেহেরী খাবে। কেননা, সেহরীতে বরকত রয়েছে। [১৬]
১০. মসজিদে এতেকাফ করা।
রমজানের শেষের দশদিনে এতেকাফ করা সুন্নত। পুরুষরা মসজিদে এবং স্ত্রীলোকেরা আপন ঘরে একটি স্থান ঘিরে নিয়ে তথায় এতেকাফ করবে। হাদিসে এসেছে-
হযরত আয়েশা রা. হতে বর্ণিত যে, নবী করীম সা. রমজানের শেষ দশকে এতেকাফ করতেন, যাবৎ না আল্লাহ তাকে উঠিয়ে নিয়েছেন এবং তাঁর পর তাঁর স্ত্রীগণও এতেকাফ করেছেন। [১৭]
১১. বেশি করে আল্লাহর জিকির ও তাসবীহ-তাহলীল করা।
রমজান মাসে বেশি করে তাসবীহ পাঠ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করতে হবে।
রাব্বে কারিম ইরশাদ করেন ,
আর যারা কোন অশ্লীল কাজ করে অথবা নিজেদের প্রতি যুলুম করে আল্লাহকে স্মরণ করে, অতঃপর তাদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আল্লাহ ছাড়া কে গুনাহ ক্ষমা করবে ? আর তারা যা করেছে, জেনে শুনে তা তারা বার বার করে না। [১৮]
১২. রমজান মাসে লাইলাতুল কদর অন্বেষণ করা।
রমজান মাসের শেষের দশদিনের বেজোড় রাত্রিতে লাইলাতুল কদরের জন্য বেশি করে আল্লাহর ইবাদত করতে হবে এবং সারা বিশ্ববাসীর শান্তি, ক্ষমা ও স্থিতিশীলতার জন্য দোয়া করতে হবে।
রাব্বে কারিম বলেন,
লাইলাতুল কদর এক হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। [১৯]
১৩. রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করা।
রমজান মাসে এমন কিছু করা যাবে না যা শরীয়তপরিপন্থী। যেমন রোজাদারহীন ব্যক্তি রোজাদারদের সামনে পানাহার করা। সেই সাথে অশ্লীল ও অনৈতিক যাবতীয় কার্যাবলী থেকে বিরত থাকতে হবে।
তদ্রুপ রমাজানুল মুবারকে কিছু কাজ থেকে সর্বান্তকরণে বিরত থাকতে হবে। তন্মধ্যে কিছু বর্জনীয় কাজেরর তালিকা নিম্নে প্রদত্ত হলো:
রোযা অবস্থায় করণীয় যেমন অনেক রয়েছে ঠিক তেমনিভাবে বর্জনীয়ও অনেক কাজ রয়েছে। যেমন:
১. মিথ্যা কথা ও অসৎ কাজ থেকে বিররত থাকতে হবে।
রাসূল (সা:) বলেন, যে ব্যক্তি রোযা রেখে মিথ্যা কথা এবং অসৎ আমল বর্জন করে না, আল্লাহর নিকট তার ক্ষুধাও পিপাসার কোন মূল্য নেই। (২০)
২. জবানের হেফাজত:
রোযা অবস্থায় বেফায়দা অনর্থক কোন কথা বলা যাবে না।
অন্যকে গাল-মন্দ করা যাবে না।
অশ্লিল কথা বর্জন করতে হবে।
রাসুল (সা:) বলেন, রোযা হল (জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষার) ঢাল স্বরূপ।
সুতরাং যদি কেউ রোযাদার হয় তাহলে তার উচিত অশ্লিল কথা বা নির্লজ্জ কথা না বলা, গুনাহে লিপ্ত না হওয়া। কেউ যদি তোমাকে গালি দেয় তাহলে তাকে বলে দিবে ভাই আমি রোযাদার। সুতরাং রমযান মাসের সম্মানার্থে বিশেষ করে টেলিভিশন বন্ধ রাখা প্রত্যেক মুমিনের জন্য আবশ্যক। (২১)
৩. পুরো শরীরে রোযা রাখা:
রোযা অবস্থায় হাত, পা, কানসহ পুরো শরীরও যাতে রোযা রাখে এমন কাজ করতে হবে অর্থাৎ এমন যাতে না হয় যে, রোযা রাখা ও না রাখা দু’টাই বরাবর। প্রত্যেকটা অঙ্গ প্রত্যেঙ্গকে গুনাহ থেকে হেফাজত রাখতে হবে।
টেলিভিশন দেখা, নাটক শুনা, গল্পের ও উপন্যাসের বই পড়া ইত্যকার কাজ বর্জন করা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাওফীক দান করুন।
মহান আল্লাহ বলেন-
আর অশ্লীল কাজের নিকটবর্তী হবে না এবং তা থেকে যা প্রকাশ পায় এবং যা গোপন থাকে। [২২]
পরিশেষে বলতে চাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত ও সৎকর্মের মাধ্যমে এই রমজানের ফজিলত আমরা পূর্ণভাবে অর্জন করতে পারি। এই রমাজানুল মুবারককে আমরা ইবাদতের প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাস হিসেবে গ্রহণ করি।
মহান রাব্বে কারিম এই রমজান মাসে আমাদের উপর রহমত, রবকত ও মাগফেরাত প্রদান করুন এবং আমাদের জাহান্নাম থেকে নাজাত প্রদান করুন। আমিন।
[হাফেজ মাওলানা মুফতী রিদওয়ানুল কাদির
খতীব, মসজিদ-এ সুফিয়া, খুরুস্কুল রাস্তার মাথা, তারাবনিয়ারছড়া, ককসবাজার।
প্রাক্তন মুহাদ্দিস- জামিয়া ইসলামিয়া টেকনাফ, ককসবাজার।
মোবা-
01812-766893।
ইমেইল- [email protected]]
সূত্র:
১. বাদায়েউস সানায়ে : ২য় খন্ড, ২০৯-২০১পৃ.।
২. আদ্দুররুল মুখতার: ৩য় খন্ড, ৩৩০ পৃ:,
আল আলবাহরুর রায়েক: ২য় খন্ড, ৪৫২ পৃ:, আলমগীরী :১ম খন্ড, ১৯৪ পৃ.।
৩. আলমগীরী: ১ম খন্ড, ১৯৫ পৃ:,
ফাতওয়া শামী: ৩য় খন্ড, ৩৩১ পৃ:,
আলবাহরুর রায়েক: ২য় খন্ড, ৪৪৮ পৃ.।
৪. [সূরাতুল বাকারা : ১৮৩]।
৫. হাদীসে কুদসী , বুখারী শরীফ, ১ম খন্ড, ২৫৪ পৃ.।
৬. বুখারী শরীফ: ১ম খন্ড, ২৫৫ পৃ,
মুসলিম শরীফ।
৭. বুখারী ও মুসলিম।
৮. মিশকাত : ১০৮৯।
৯. মুসলিম শরীফ।
১০. বায়হাকী, শুআবুল ঈমান :হা. ১৮৬৯, মুসনাদুস শিহাব : ১১৯৫।
১১. মিশকাত :১৮৬৮।
১২. সূরা বাকারাহ : ২৬১।
১৩. তিরমিযী : ৮০৭।
১৪. তাবারানী : ৮৪৫।
১৫. আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, দারেমী।
১৬. বুখারী, মুসলিম।
১৭. বুখারী ও মুসলিম।
১৮. সূরা আল-ইমরান : ১৩৫।
১৯. সূরা কদর : ৩।
২০. বুখারী শরীফ।
২১. বুখারী ও মুসলীম শরিফ।
২২. সূরা আন-আম : ১৫১।