পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হলেই পড়ে যায় মিষ্টি কেনার ধুম। কেমন হতো যদি ঘরে বসেই বানাতে পারতেন মিষ্টি। রসগোল্লা আমাদের দেশের খুবই জনপ্রিয় একটি মিষ্টি। রেসিপি দেখে জেনে নিন কীভাবে বানাবেন রসগোল্লা।
বানাতে যা লাগবে তরল দুধ ১ লিটার, সিরকা/লেবুর রস-২ থেকে ৩ টেবিল চামচ (সমপরিমান পানি দিয়ে মিলানো), ময়দা-১/২চা চামচ, চিনি-১/২ চা চামচ।
সিরার জন্য : ১কাপ চিনি, ৪ কাপ পানি, এলাচ- ২/৩টা
যেভাবে বানাবেন
প্রথমেই সিরাটা রান্না করে নিন। একটি ছড়ানো পাতিলে চিনি পানি আর এলাচ নিয়ে চুলায় অল্প আঁচে জ্বাল দিয়ে নেড়ে নেড়ে চিনি আর পানিটা মিশিয়ে দিতে হবে মিশে গেলেই চুলা বন্ধ করে রাখতে হবে।তারপর আলাদা একটি পাতিলে দুধ জ্বাল দিতে হবে এবং মাঝে মাঝে নাড়তে হবে যাতে পাতিলের নিচে না লাগে। দুধ ফুটে উঠলে পাতিল নামিয়ে ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড পর একটু একটু করে সিরকার মিশ্রন ছড়িয়ে দিতে হবে, এবং নেড়ে দিতে হবে। যখন দুধ ছানা হয়ে যাবে এবং পানিটা সবুজাভ হবে তখন পাতিলটাকে প্রায় ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত রাখতে হবে।
পাতিল যখন প্রায় ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন ছানার পানি ঝরিয়ে একটা সুতির পাতলা কাপড়ে নিতে হবে। কলের নিচে একটা ঝাঝরি এর উপর ছানার কাপড়টা রেখে পানি দিয়ে ছানাকে নেড়ে নেড়ে ধুয়ে নিতে হবে ভালো করে।
এবার পুটলিকে হাত দিয়ে চেপে চেপে পানি যতটুকু বের করা যায় করতে হবে। তারপর ঝুলিয়ে রাখতে হবে পানি ঝরার জন্য।
১/২ ঘন্টা পর ছানার পুটলি টাকে আবার চাপ দিয়ে দিয়ে পানি বের করে দিতে হবে, আবার ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
এবার ছানার সাথে ময়দা ও চিনি দিয়ে হাতের তালু দিয়ে প্লেটের উপর ছানাটা ঘষে ঘষে ছেনে নিতে হবে, ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগতে পারে। ছানার মধ্যে কোনও দলা দলা থাকবে না এবং বল করলে খুব মসৃন বল হবে।
বল করা যখন শুরু করবেন তখন চুলায় সিরা বসিয়ে অল্প জ্বালে রাখবেন। খেয়াল রাখবেন সিরা যাতে ঘন না হয়ে যায়, সিরাটা চিনি আর পানি মেশানোর পর যতটুকু পাতলা ছিল ওরকম পাতলা রাখতে হবে।
বল হয়ে গেলে একসাথে সিরাতে ছেড়ে দেবেন এবং ঢাকনা দিয়ে জ্বাল মাঝারি আঁচে রাখবেন। বলক আসলে জ্বাল আরও কমিয়ে দেবেন। মিষ্টি নাড়াচড়া করা যাবে না।
১০ মিনিট পর আবার হাফ কাপ পানি দেবেন। এভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট জ্বাল দিয়ে নামিয়ে ৫ মিনিট ঢাকনা দিয়ে রাখবেন। নামানোর আগেও হাফ কাপ পানি দিয়ে দেবেন অর্থাৎ কোনোভাবেই সিরা যাতে ঘন না হয় সেদিকে ভালো করে খেয়াল রাখতে হবে।
হয়ে গেলো রসের গোল্লা, চেক করার জন্য একটা রসগোল্লা বাটিতে নরমাল ডুবো পানিতে ছেড়ে দিতে হবে। যদি ডুবে যায় তবে বুঝবেন হয়ে গেছে রসগোল্লা। এবার পরিবেশন করুন গরম গরম।
পাঠকের মতামত