ডেস্ক রিপোর্ট ::
রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের সহায়তায় ত্রাণ সরবরাহ আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে শত শত বিক্ষোভকারী। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে তারা জানায়, ত্রাণবহনকারী বাহনগুলোতে বিক্ষোভকারীরা পেট্রল বোমাও ছুঁড়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বিক্ষোভে সাম্প্রদায়িক বৈরিতা আরও বেড়ে গেছে। ফলে ত্রাণ সরবরাহ কঠিন হয়ে গেছে দাতব্য সংস্থাগুলোর। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করেছে।
গত ২৫ আগস্ট সামরিক বাহিনীর রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন লাখ লাখ রোহিঙ্গা। এখনও অনেক রোহিঙ্গা মিয়ানমারে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। খাদ্য ও পানির অভাব ছাড়াও প্রতিমুহূর্ত আতঙ্কে কাটাতে হচ্ছে তাদের। আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোও কাজ করার অনুমতি পাচ্ছিলো না। সবশেষ ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রস সেখানে ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি পায়।
বুধবার রাতে প্রায় ৫০ টন ত্রাণ নিয়ে রোহিঙ্গাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করে বলে জানিয়েছে সরকারি সূত্র। সেসময় কয়েকজন বিক্ষোভকারী লাঠি ও ধাতব বস্তু নিয়ে এগিয়ে আসে। কেউ কেউ পেট্রোল বোমাও ছুঁড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় ২০০ পুলিশ। গুলিও ছুড়তে হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, তিনি কয়েকজনকে আহত হতে দেখেছেন। সরকারি তথ্য দফতর জানায়, এখন পর্যন্ত আটজনকে আটক করা হয়েছে।
২৫ আগস্টের ওই সহিংসতার শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৪০০ জন নিহত হয়েছেন। সরকারের দাবি, তাদের বেশিরভাগই বিদ্রোহী রোহিঙ্গা সেনা।
তবে মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা ও বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানান, বৌদ্ধ সন্ত্রাসী ও সেনাসদস্যরা তাদের হত্যার চেষ্টা করেছে। ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন অনেক নারী। জাতিসংঘও এই ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ বলে উল্লেখ করেছে।’ মিয়ানমার সরকারের দাবি, তারা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। সাধারণ মানুষের উপর নয়।