বাংলাদেশের দলীয় রাজনীতিতে পিছিয়ে নেই দলীয় প্রধানের আত্মীয়-স্বজনেরা। বঙ্গবন্ধু বা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ, জিয়া বা খালেদার বিএনপি এমনকি এরশাদের জাতীয় পার্টিতেও আত্মীয়ের ছড়াছড়ি।
মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তার বড় মেয়ে শেখ হাসিনা বর্তমানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা। প্রধানমন্ত্রীর বিয়াই অর্থাৎ তার একমাত্র মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের শ্বশুর ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বর্তমান সরকারের এলজিআরডি মন্ত্রী। পুতুলের দাদাশ্বশুর খন্দকার নুরুল হোসেন ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ফুপাতো ভাই।
খন্দকার মোশাররফের ছোট ভাই খন্দকার মোহতাশিম হোসেন হলেন ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ননদের স্বামী হলেন সিরাজগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ এমপি ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী, প্রখ্যাত পরমাণুবিজ্ঞানী প্রয়াত ড. ওয়াজেদ মিয়ার বড় বোনের নাতনি হলেন আওয়ামী লীগ সরকারের হুইপ, গাইবান্ধা-২ আসনের এমপি মাহবুব আরা গিনি।
বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে হলেন শেখ রেহানা। তার মেয়ে হলেন টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক। যিনি ব্রিটেনের ৫৬তম জাতীয় নির্বাচনে হ্যাম্পস্টেড এবং কিলবার্ন আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন লেবার দলীয় এমপি।
আইভী রহমান হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার খালাশ্বাশুড়ি। সে হিসেবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান হলেন শেখ হাসিনার তালই। আবার জিল্লুর রহমান ও আইভী রহমানের সন্তান হলেন ভৈরব-কুলিয়ারচর আসনের আওয়ামী লীগ এমপি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বঙ্গবন্ধুর বোন আছিয়া বেগমের দুই ছেলে হলেন শেখ ফজলুল হক মণি ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সম্পর্কে তারা শেখ হাসিনার আপন ফুপাতো ভাই। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণির ছেলে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস ঢাকা-১০ আসনের এমপি। বঙ্গবন্ধুর আরেক ভাগনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম সাবেক মন্ত্রী ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের এমপি।
শেখ সেলিমের ভগ্নিপতি হলেন বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা ও এরশাদ সরকারের সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত নাজিউর রহমান মঞ্জুর, যিনি পরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটে যোগ দেন। নাজিউর রহমান মঞ্জুর আবার শেখ হাসিনার ফুপাতো বোনের স্বামী। তার দুই ছেলে বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ও ড. আশিকুর রহমান শান্ত। বর্তমানে তারা বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয়। শেখ হাসিনা তাদের খালা।
আবার শেখ সেলিমের ছেলে বিয়ে করেছেন বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর মেয়েকে। অবশ্য ইকবাল হাসান টুকু ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহপাঠী ছিলেন। শেখ সেলিমের আরেক ছেলে বিয়ে করেছেন আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের মেয়েকে। এই মুসা বিন শমসেরের ছেলে ববি হাজ্জাজ হলেন এরশাদের সাবেক মুখপাত্র ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা।
বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ নাসের। তার ছেলে হলেন বাগেরহাট-১ আসনের আওয়ামী লীগ এমপি শেখ হেলাল। তার মেয়ের জামাই হলেন ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। শেখ সেলিম ব্যারিস্টার পার্থের মামা ও শেখ হেলাল পার্থের শ্বশুর। আবার শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই শেখ মণি ও শেখ সেলিমের আরেক ছোট বোনের জামাই হলেন যুবলীগের বর্তমান সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। আর শেখ সেলিমের ভায়রা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী জামালপুর-১ আসনের এমপি আবুল কালাম আজাদ।
বঙ্গবন্ধুর বড় বোনের জামাই হলেন আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম আবদুর রব সেরনিয়াবাত। তার ছেলে হলেন জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ বরিশাল-১ আসনের আওয়ামী লীগ এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। শেখ হাসিনা ও হাসানাত আবদুল্লাহ পরস্পরের মামাতো-ফুপাতো ভাই-বোন।
আবার আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর ছোট বোনের দেবর হলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কুষ্টিয়া-৩ আসনের এমপি মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি শেখ হাসিনার বেয়াই।
আবার হাসনাত আবদুল্লাহর চাচাতো ভাই হলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শেখ হাসিনার আরেক ফুপাতো ভাই হলেন মাদারীপুরের সাবেক এমপি প্রয়াত ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী। তার বড় ছেলে নূর-ই-আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী) আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক হুইপ ও মাদারীপুর-১ আসনের এমপি। ইলিয়াস চৌধুরীর ছোট ছেলে মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র এমপি। সে হিসেবে লিটন ও নিক্সন চৌধুরী সম্পর্কে শেখ হাসিনার ভাতিজা।
শেখ হাসিনার আরেক ফুপাতো ভাই হলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাদারীপুর-৩ আসনের এমপি বাহাউদ্দিন নাছিম।
শেখ হাসিনার চাচা, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেনের বেয়াই হলেন বিএনপির দীর্ঘ সময়ের মহাসচিব এবং ওয়ান ইলেভেনের সংস্কারপন্থি শীর্ষ নেতা প্রয়াত আবদুল মান্নান ভূঁইয়া। মান্নান ভূঁইয়ার ছেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয়েছে শেখ কবিরের মেয়ের। সে হিসেবে শেখ হাসিনার সম্পর্কে তালই হলেন মান্নান ভূঁইয়া।
এছাড়া শেখ হাসিনার ফুপা হলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও মন্ত্রী, ঝালকাঠি-২ আসনের এমপি আমির হোসেন আমু। তার স্ত্রী প্রয়াত ফিরোজা হোসেন শেখ হাসিনার ফুপু।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার খালাতো ভাই। শেখ শহীদ ছিলেন এরশাদ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী। শেখ হেলালের ফুপা ছিলেন মরহুম কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান। যিনি বিএনপি সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।
জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন। পুরনো সম্পর্কে তারা পরস্পরের দূরসম্পর্কীয় খালাতো ভাই-বোন। জিয়া পরিবারের দুই সন্তান তারেক রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো। তারেক রহমান বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। তারেক রহমানের শ্বশুর হলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান মাহবুব আলী খান। মাহবুব আলী খানের বাবা আহমেদ আলী খান ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম ব্যারিস্টার। জিয়াউর রহমানের বড় ভাই রেজাউর রহমান নৌবাহিনীতে মাহবুব আলী খানের সহকর্মী ছিলেন। তারেক রহমানের শ্বশুর মাহবুব আলী খান ছিলেন ‘জাগদল’ সদস্য ও জিয়া সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
তারেক রহমানের চাচাশ্বশুর হলেন মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক ও পরে জাতীয় জনতা পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী।
তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের খালু হলেন ফরিদপুরের বিখ্যাত খন্দকার পরিবারের সন্তান হিরু মিয়া। আর হিরু মিয়া হলেন বঙ্গবন্ধুর ফুপাতো ভাই এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের চাচাতো দাদাশ্বশুর। আবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক মহাসচিব আইরিন খান হলেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের আপন চাচাতো বোন।
খালেদা জিয়ার বড় বোন প্রয়াত খুরশিদ জাহান হক ছিলেন দিনাজপুর সদর আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপি সরকারের মন্ত্রী। খালেদা জিয়ার দুই ভাগনে ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি। আরেক ভাগনে সাইফুল ইসলাম ডিউক সাবেক সামরিক কর্মকর্তা।
খালেদা জিয়ার ভাই প্রয়াত মেজর (অব.) সাঈদ এস্কান্দার ফেনী-১ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময়ে আলোচিত সেনাকর্মকর্তা লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী সম্পর্কে সাঈদ এস্কান্দারের ভায়রা। আবার সাঈদ এস্কান্দারের বেয়াই হলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও হোটেল রাজমণি ঈশা খাঁর মালিক আহসান উল্লাহ মণি। সাঈদ এস্কান্দারের ছেলের কাছে মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন মণি। আবার বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার স্ত্রী সিগমা হুদার বড় ভাই দারা কবির বিয়ে করেছেন জিয়াউর রহমানের খালাতো বোন আতিকা শিরিনকে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার আপন ভাই গোলাম মোহাম্মদ কাদের জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য। এরশাদের আরেক ভাই প্রয়াত মোজাম্মেল হোসেন লালু ছিলেন জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি। এরশাদের ভাতিজা ছিলেন রংপুর-১ আসনের এমপি হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ। এরশাদের বোন মেরিনা রহমানও বর্তমানে এমপি এবং ভগ্নিপতি প্রয়াত ড. আসাদুর রহমান রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। আরেক ভগ্নিপতি হাবিুবুর রহমান হবি বর্তমানে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য। এছাড়া এরশাদের আরেক ভাতিজা মেজর (অব.) খালেদ আখতার বর্তমানে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন।
আবার এরশাদের সম্পর্কে মামা ছিলেন বঙ্গবন্ধু, জিয়া ও এরশাদ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রিয়াজউদ্দিন আহমেদ ভোলা মিয়া। সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের সহধর্মিনী রওশন এরশাদ ১০ম সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী। তিনি ময়মনসিংহ সদর ও গাইবান্ধা থেকে একাধিকবার নির্বাচিত এমপি। এরশাদের শ্যালক হলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি কূটনীতিক মহিউদ্দিন আহমেদ। তার শ্বশুর হলেন বিএনপির প্রথম দিকের অন্যতম শীর্ষ নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়া। যাদু মিয়ার মেয়ে মুক্তি রহমানকে বিয়ে করেছেন এরশাদের শ্যালক মহিউদ্দিন আহমেদ। সে হিসেবে এরশাদ এবং ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ ন্যাপের সভাপতি জেবেল রহমান গানি পরস্পরের আত্মীয়। আবার রওশন এরশাদের বড় বোন মমতা ওয়াহাব ছিলেন এরশাদ সরকারের মন্ত্রী।
বিকল্পধারার সভাপতি প্রফেসর ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তার বাবা ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রী কফিল উদ্দিন চৌধুরী। বদরুদ্দোজা রাজনীতিতে আসেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। বিএনপির প্রথম মহাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন প্রফেসর ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
বি. চৌধুরীর ছেলে হলেন বিএনপি সরকারের সাবেক এমপি ও বর্তমানে বিকল্পধারার সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী। বি. চৌধুরীর শ্যালিকা হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি পান্না কায়সার। বি. চৌধুরী হলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের ভায়রা। শহীদুল্লাহ কায়সার ও জহির রায়হানের চাচাতো ভাই হলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তিত্ব শাহরিয়ার কবির।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদের মেয়ের ভাসুর হলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রী ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহমেদের আপন ভাতিজা হলেন কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদ। আর টেলি সামাদের শ্বশুরের পরিবার হচ্ছে মুন্সীগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রাণকেন্দ্র। টেলি সামাদের স্ত্রীর বড় ভাই হলেন মো. মহিউদ্দিন, যিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বডিগার্ড ও সাবেক এমপি। অন্যজন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুজ্জামান।
বিএনপি সরকারের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির স্বল্পকালীন চেয়ারম্যান ছিলেন বিচারপতি আবদুস সাত্তার। তার সম্পর্কে ভাগনে হলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত জিল্লুর রহমানের ভাগ্নির সাথে বিয়ে হয় মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) মীর শওকত আলী বীরউত্তমের ভাগিনার সাথে। মীর শওকতের আপন ফুপাতো ভাই হলেন ভোলার চরফ্যাশন আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি প্রয়াত জাফরউল্লাহ চৌধুরী।
বিবার্তা/