গোলাম মাওলা রনি:
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ দিনটিতে বসে আজকের লেখাটি লিখছি। এটি যেদিন ছাপার অক্ষরে নয়া দিগন্তের পাঠকদের কাছে পৌঁছবে বলে আশা করছি, সেদিন হবে ফেব্রুয়ারি মাসের দুই তারিখ, অর্থাৎ শুক্রবার। আজ থেকে শুক্রবার অবধি খুব বেশি সময় নয়। তবুও কেন জানি মনে হচ্ছে, আজকের প্রেক্ষাপটে যা বাস্তব বলে মনে হচ্ছে তা-ই হয়তো এক দিন পর, অর্থাৎ শুক্রবার দিন অনেকের কাছে অলীক ও অবাস্তব বলে মনে হতে পারে। মানুষের জাতীয় জীবন যখন অস্থিরতার মধ্যে কাটে কিংবা রাজনীতিতে অনিশ্চয়তাবোধ থাকে, তখন কোনো কিছুই আর হিসাবমতো এগোতে পারে না। অসময়ের অস্থির যাচনায় কালবৈশাখীর ঝড়ের তাণ্ডবের মতো সব কিছুই এলোমেলো হয়ে যায়।
আমাদের রাজনীতির আপাতশান্তশিষ্ট পরিপাটি রূপের অন্তরালে কী সব ভয়াবহ গরল আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত লাভার মতো টগবগ করে ফুটছে, তা দেশের জনগণ কমবেশি স্বীকার করেন। অগ্ন্যুৎপাতের আগে ভূ-অভ্যন্তরের উত্তপ্ত গলিত লাভা ফুলে-ফেঁপে বহু গুণ স্ফীত হয়ে পাহাড় ফুটো করে যেভাবে বের হয়ে আসার জন্য পৃথিবীর পেটের মধ্যে তাণ্ডব চালায়, তার চেয়েও বেশি উন্মত্ততা নিয়ে মানুষের রাজনৈতিক বেদনার বিস্ফোরণ ঘটে। মানুষের প্রলয় ঘটানোর প্রবণতার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার কাছে আগ্নেয়গিরির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা প্রায়ই নস্যি বলে বিবেচিত হয়ে আসছে। ফলে আগ্নেয়গিরির পাদদেশে বসবাসকারী মানুষের তুলনায় রাজনৈতিকভাবে অস্থির সমাজ, কাল ও দেশের জনগণ অধিক আতঙ্কগ্রস্ত থাকে।
আজকের দিনের বাস্তবতা হলো, গতকাল সকালের নিরুত্তাপ রাজনীতি আজ হঠাৎ কুসুম কুসুম গরম হয়ে উঠেছে।
গত ৩০ জানুয়ারি বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন হজরত শাহজালাল রহ:-এর মাজারে বসে পবিত্র কালামে রব্বানি তেলাওয়াত করছিলেন অথবা সিলেটের বিশাল জনসভায় নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছিলেন, ঠিক তখন ঢাকার আকাশ-বাতাস একটি অভিনব ঘটনার রেশে বেশ অস্থির হয়ে উঠেছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকটা বেকুব হয়ে পড়েছিল। অন্য দিকে ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সরকারবিরোধীদের উল্লাস দেখে মনে হচ্ছিল তারা মহাভারত কিংবা লঙ্কা জয় করে ফেলেছেন। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তাদের বিজয়োল্লাস দেখে কারোরই ধারণা করতে একটুও কষ্ট হবে না যে, তারা বেশ সাহসী ও উদ্যমী হয়ে পড়েছেন। এবার অভিনব ঘটনাটি সম্পর্কে কিছু বলে আজকের শিরোনাম প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু করা যাক।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে গতকাল হঠাৎ করেই অদ্ভুত একটি ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইলেন। তার দলের নেতাকর্মীরা ইদানীং কেন জানি পুলিশভীতি অনেকটা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছেন। তারা বেগম জিয়ার আদালতে হাজিরার দিন সদলবলে হাজারে হাজারে হঠাৎ করে কোথা থেকে যেন উদিত হন। তাদের আচমকা উপস্থিতি এবং ক্রমেই গাণিতিক হারে সংখ্যা বাড়ানোর ঘটনায় দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেশ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। ঢাকার ব্যস্ত রাজপথের হাজারো পথচারী গত কয়েক মাসে এই অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখতে দেখতে অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। লোকজন অধীর আগ্রহ নিয়ে বেগম জিয়ার গাড়ির বহর দেখেন এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার পক্ষে কিংবা বিপক্ষে নিজেদের বুদ্ধি-বিবেচনামতো আলাপ-আলোচনা করেন। অন্য দিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে ঝামেলায় না জড়িয়ে তাদেরকে প্রায়ই স্রেফ এক্সিট দিয়ে আসছিলেন। মাঝে মধ্যে তারা কিছু নেতাকর্মীকে আটক করতেন এবং পরে ছেড়ে দিতেন। কয়েক দিন আগে বেশ কিছু নেতাকর্মীকে বেগম জিয়ার যাত্রাপথের মিছিল থেকে আটক করা হলে তিনি তার গাড়ির বহর থামিয়ে নেতাকর্মীদের ছেড়ে দেয়ার দাবি জানান। পুলিশ ঝামেলা এড়ানোর জন্য বিএনপি নেত্রীর দাবি মেনে নেয়। ফলে নেতাকর্মীরা ছাড়া পেয়ে যান, যার অব্যবহিত প্রতিক্রিয়ায় সারা দেশের বিএনপিদলীয় নেতাকর্মীরা তাদের নেত্রী সম্পর্কে নতুন করে আস্থাশীল হয়ে ওঠেন।
গতকালও বেগম জিয়া বিগত দিনের মতো কোর্টে হাজিরা দিয়ে ফিরছিলেন। পুলিশের কিছু অতি উৎসাহী কর্মকর্তা হয়তো সরকারের কাছে নিজের দরদাম বাড়ানোর জন্য তিনজন বিএনপি কর্মীকে আটক করে প্রিজনভ্যানে ঢুকিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা সদলবলে হাইকোর্টের সামনে কদম ফোয়ারা অতিক্রম করার সময় পুলিশের প্রিজনভ্যানে দলীয় কর্মীদের তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখে যারপরনাই উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তারা প্রিজনভ্যানের তালা ভেঙে কর্মীদের উদ্ধার করেন। তাদের এই কর্মে যেসব পুলিশ সদস্য বাধা দিতে আসেন, বিএনপি কর্মীরা সর্বশক্তি দিয়ে সেই বাধা অতিক্রম করে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুলিশের প্রস্তুতি না থাকায় তারা অনেকটা নাজেহাল, অপদস্থ ও পর্যদুস্ত হয়ে পিছু হটতে বাধ্য হন।
গতকালের উল্লিখিত ঘটনা আজকের দিনের প্রায় সব জাতীয় দৈনিকের শিরোনামে পরিণত হয়েছে। অন্য দিকে গতকাল বিকেল থেকেই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রিজনভ্যানের তালা ভাঙার দৃশ্য, পুলিশের নাজেহাল এবং পিছু হটার বাহারি সব ফটোশট কৌতূহলোদ্দীপক শিরোনাম দিয়ে প্রচার হতে হতে একসময় ভাইরাল হয়ে যায়। প্রচারকারীরা দাবি করতে থাকেন, এ ঘটনার মাধ্যমে বিএনপির বিজয় শুরু হলো এবং তারা তাদের বর্তমান উদ্দীপনা অক্ষুণ্ন রেখে আগামী দিনের যেকোনো সরকারি আগ্রাসন প্রতিহত করে দেবেন। বিশেষ করে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার যে রায় হবে, তা যদি তাদের প্রতিকূলে যায় তবে রাজপথ দখলে রাখার যে কৌশল রচনা করেছেন, তা গতকালের সফলতা দিয়ে আরো বেগবান হবে।
গত দুই বছরের রাজনীতির হালহকিকত দেখে অনেকের মতো আমারও মনে হচ্ছিল, সরকারি দল আওয়ামী লীগ এবং তাদের রাজনৈতিক মিত্ররাই হয়তো আগামী রাজনীতির নিয়ন্তা হবেন। তারা গত দুই বছরে নিজেদের কর্মকাণ্ড দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতার বলয়কে নিজেদের জন্য এতটাই সুসংহত ও মজবুত করে তুলেছেন, যা দেখে খোদ সরকারবিরোধীরা নিজেদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে উচ্চরবে অভিযোগ তুলে আসছিলেন যে, এই সরকার ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার চক্রান্ত করছে। তারা আরো অভিযোগ তুলেছেন, সরকার কৌশলে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে এবং বিগত ৫ জানুয়ারির মতো ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার নীলনকশা চূড়ান্ত করে ফেলেছে।
সরকারবিরোধীদের উল্লিখিত অসহায় কথাবার্তা শুনলে মনে হতো, তারা অবলীলায় সরকারের সব কর্ম মেনে নেয়ার জন্য ভীতসন্ত্রস্ত মনে পই পই করে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। বিরোধী দলের বেশির ভাগ শীর্ষ নেতার দ্বিধাগ্রস্ত আচরণ, সন্দেহজনক চলাফেরা ও অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে মনে হয়, তারা সরকারকে যথেষ্ট ভয় পান। তারা দিনের বেলায় দলীয় রাজনীতি এবং রাতের আঁধারে সরকারি লোকদের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জনের চেষ্টা করতে করতে নৈতিকভাবে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছেন যে, দলীয় কার্যালয়ে নিয়মিত যাতায়াত অথবা রাজপথে কোনো সরকারবিরোধী কর্মসূচিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা থেকে বিরত থাকছেন। এ অবস্থায় আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ঘোষিত রাজপথ দখলের কর্মসূচিতে অনেক নেতাই যে থাকবেন না, সে রকম আশঙ্কা থেকে দলের তরুণ তুর্কিরা নানা রকম সতর্কবাণী উচ্চারণ করে চলেছেন। বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ইতোমধ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণার দিন কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজপথে পাওয়া না গেলে তাদের বাসায় গিয়ে তিনি তাদেরকে চুড়ি পরিয়ে দিয়ে আসবেন।
রাজনীতির ইদানীংকালের নানা হিসাব-নিকাশ, দোলাচল, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মধ্যে বিএনপি কর্মীদের পুলিশভ্যানের তালা ভাঙা এবং সতীর্থদের উদ্ধার অভিযান নিঃসন্দেহে একটি কুসুম কুসুম খবর। বিগত দিনের ভয় পাওয়া সংস্কৃতি কিংবা ভয় দেখানোর দক্ষতানির্ভর রাজনীতিতে যে সুমসাম নীরবতা চলে আসছিল, তা আগামী দিনগুলোতে অব্যাহত থাকবে কি না সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। কারণ, রাজনীতির পুঞ্জীভূত ক্ষোভ কখন এবং কিভাবে আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত লাভার মতো জ্বালামুখ সৃষ্টি করে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে তা কেউ বলতে পারে না। এ কারণে পৃথিবীর সর্বকালের রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা জনমত, জনসমর্থন ও জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে রাজনীতি করার পরামর্শ দিয়েছেন।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে জনগণের চিন্তাচেতনা এখন আর কোনো রাজনীতির ব্যাকরণ অনুসরণ করছে না। দেশে যখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করে তখন মানুষের মন ও মানসে প্রতিনিয়ত শত ফুল ফুটতে থাকে। বর্ণালী ফুলের মন মাতানো সৌরভে বিমুগ্ধ হয়ে কবিরা যুগান্তকারী সব কবিতা রচনা করেন। সাহিত্যিক, লেখক, শিল্পী প্রমুখ বিদগ্ধ নাগরিকেরা তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সৃজনশীলতার দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ সৃষ্টি করেন। অন্য দিকে, মানুষ যখন রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দিন কাটায়, তখন তাদের জীবন-জীবিকা সব কিছুই বস্তুবাদী ও ভোগবাদী হয়ে ওঠে। টাকা-পয়সা, সোনাদানা প্রভৃতি অস্থাবর সম্পত্তির লোভ কিছু মানুষকে নিদারুণ পেয়ে বসে। অর্থসংক্রান্ত বড় বড় কেলেঙ্কারি মানুষের জীবনকে একের পর এক বিপর্যস্ত করতে থাকে। সমাজে সৃষ্টি হয় লুটেরা, ভোগী ও ভয়ঙ্কর প্রকৃতির নীচু মনের অসভ্য সব অর্থদানব। ফেরাউন আমলের কারুন ও নবাব সিরাজউদ্দৌলার আমলের জগৎশেঠরা এ ধরনের অর্থদানবের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
আমাদের সমাজের বর্তমান কালের অর্থদানবদের ব্যাপারে আজ আর বিস্তারিত আলোচনা করব না। আমি শুধু দেশীয় রাজনীতির পেটের মধ্যকার অতিমাত্রার তাপ ও চাপ নিয়ে কিছু কথা বলে আজকের নিবন্ধের ইতি টানব। মানুষ যখন স্বাধীনমতো কথা বলা এবং রাজনীতির চর্চা করতে না পারে তখন প্রকৃতিগতভাবে তাদের মন ও মানসে এক ধরনের ভয়ানক বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এসব মানুষ কোনো দিন যদি নির্বিঘ্নে মারামারি করার বা প্রতিশোধ গ্রহণের সুযোগ পায়, তবে সেখানে ধ্বংসযজ্ঞের তুফান সৃষ্টি করে দেয়। সেই তুফান কতটা ভয়ঙ্কর ও মানবসভ্যতাবিনাশী হতে পারে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো হালাকু খানের বাগদাদ আক্রমণ। মাত্র ৩০-৪০ হাজার সৈন্য নিয়ে তিনি বাগদাদ আক্রমণ করেছিলেন এবং তার সেই সৈন্যবাহিনীর পক্ষে দুই দিনে ১০ লাখ লোক মেরে ফেলা ছিল অসম্ভব। তাহলে বাগদাদে কী ঘটেছিল? আমরা যদি নির্মোহভাবে ইতিহাস পর্যালোচনা করি তবে দেখব, সেখানে ভয়াবহ সিভিল ওয়ার যা জনযুদ্ধ হয়েছিল। অযোগ্য শাসকদের দীর্ঘ দিনের অপকর্ম পুরো সমাজকে নানাভাগে বিভক্ত করে দেশবাসীকে বিবেকহীন, অনুভূতিহীন ও নির্মম নিষ্ঠুর বানিয়ে ফেলেছিল।
আমাদের সমাজের নিকট অতীতের বরফশীতল রাজনীতি এবং সাম্প্রতিক সময়ের কুসুম কুসুম উত্তাপকে পর্যালোচনা করে রাজনীতির নীতিনির্ধারণী নেতারা যদি জনগণের হৃদয়ের গহিনের মর্মবেদনা হৃদমাঝারের নিম্নচাপ-উচ্চচাপ খেয়াল করেন তবে লক্ষ করবেন, জনগণ অনেক কিছু আড়াল করে রেখেছে সময় ও সুযোগ বুঝে তা প্রদর্শন করার জন্য। তাদের মুখ দেখে সাধারণত বোঝা যাবে না যে, দৃষ্টির আড়ালে কতটা উত্তাপ সঞ্চিত রয়েছে। অথবা তাদের কণ্ঠ শুনে অনুমানের উপায় নেই, বুকের মধ্যে কতটা বিদ্রোহ বিপ্লবের শক্তি পুঞ্জীভূত রয়েছে। কাজেই সময় থাকতে যদি সতর্কতা অবলম্বন করা যায়, তবে ঐতিহাসিক কুলক্ষণে দুর্ঘটনা থেকে হয়তো বা আমরা সবাই নিরাপদ থাকতে পারব।