গত ২৯ মে ২০২৪ ইং টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ভোট হয়নি সেন্টমার্টিন কেন্দ্রে।
উক্ত দিনে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দুর্যোগপুর্ণ ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানো এবং ভোট গহণকারী কর্মকর্তাগণ যেতে না পারায় স্থগিত করা সেন্টমার্টিন দ্বীপ কেন্দ্রেটি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ২৯ মে ২০২৪ ইং নির্ধারিত তারিখে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে সেন্টমার্টিনে ইভিএম এর বক্সসহ নির্বাচনি সরঞ্জামাদি পাঠানো হলেও দুর্যোগপুর্ণ ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিনদ্বীপ কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানো এবং ভোট গহণকারী কর্মকর্তাগণ যেতে পারেননি।
নির্বাচন কমিশণ ৬০ নম্বর সেন্টমার্টিন দ্বীপ (জিনজিরা স্কুল) কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা কেন্দ্রটি ৫ জুন ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।
অলরেডি আজ ৪ মে নির্বাচনীয় সরঞ্জাম ও নির্বাচন কর্মকর্তারা ভোট গ্রহণের জন্য সেন্টমার্টিন অবস্থান করছেন।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ একটিমাত্র কেন্দ্র। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৭১৩ জন।
তম্মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ হাজার ৮৫৮ এবং মহিলা ভোটার ১ হাজার ৮৫৫ জন।
নির্বাচন কমিশণের নির্দেশনা মতে ভোট গ্রহণ করা হবে শুধুমাত্র পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদের। উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ করা হবেনা।
অন্যদিকে নির্বাচন বর্জন ঘোষণা করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাও. রফিক উদ্দিন।
সোমবার ৩ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলাবাসীদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভিডিও ভার্তায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, খুবই কম সংখ্যক প্রার্থী নিয়ে তুলনামুলক ভোট কাষ্টিং ও ভোটারদের অনাগ্রহের মাধ্যমে বড় ধরণের কোন অঘটন ছাড়াই গত ২৯ মে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টিত হয়।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিতে পারবে কিনা সন্দেহ ছিলো। এখন ৫ জুন তারিখ ভোট দেওয়ার অধিকার পেয়েছি। তবে ২৯ মে তারিখের মতো ভোটের আমেজে দেখা যাচ্ছে না। শুনলাম শুধু মাত্র ভাইস চেয়ারম্যানের ভোট হবে। আবার অন্যদিকে মাইক মার্কা প্রতীক প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। এখন আমরা দ্বীপবাসী সবাই চিন্তা করছি টিউবওয়েল মার্কা যিনি বিজয়ী হয়েছেন সবাই তাঁকে ভোট দিয়ে দিবো৷ অন্য মার্কায় ভোট দিয়ে কেন নিজের ভোটটা নষ্ট করবো?
উপজেলার মোট ৬০টি কেন্দ্রের মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপ স্থগিত থাকায় ৫৯টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা করেছিলো উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
৩টি পদে ৩ জন করে মোট ৯ জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদন্ধী ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আহমদ (আনারস) ৫২ হাজার ৩৬৭ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।
তাঁর নিকটতম প্রতিদন্ধি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম (টেলিফোন) পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৯০১ ভোট।
জাফর আহমদ ১৬ হাজার ৪৬৬ ভোটে এগিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয় লাভ করেছেন। অপর প্রার্থী দিদার মিয়া (মোটরসাইকেল) ২ হাজার ১৩৩ ভোট।
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে টেকনাফ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সরওয়ার আলম (টিউবওয়েল) ৩৯ হাজার ৩৫ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।
নিকটতম প্রার্থী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাও. রফিক উদদীন (মাইক) পেয়েছেন ৩৫ হাজার ১৫৪ ভোট। আবু ছিদ্দিক (চশমা) পেয়েছিলেন ১৬ হাজার ১৯২ ভোট।
৩ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি এবং বর্তমানে হ্নীলা ইউনিয়নের মহিলা সদস্যা মর্জিনা আক্তার (ফুটবল) ৬১ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি তাহেরা আক্তার মিলি (পদ্মফুল) পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮৪ ভোট। উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাপজান আক্তার (কলস) ১০ হাজার ৯৩ ভোট পেয়েছেন।