রামুতে ৩য় ও ৪র্থ পর্যায়ে ভূমিহীন-গৃহহীন ২০২টি পরিবার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার বসত ঘর। বুধবার (২২ মার্চ) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ঘরের উপকারভোগীদের দলিল হস্তান্তর করবেন। সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন- রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা। সোমবার, ২০ মার্চ বিকাল ৪ টায় রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন "মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা"। তাঁর এ ঘোষণা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৪২২টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ ভূমি বন্দোবস্তসহ গৃহ নির্মাণ করে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
এ কার্যক্রমের আওতায় রামু উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ১ হাজার ৬৫টি পরিবারের মধ্যে ইতিমধ্যে ১ম, ২য়,৩য় পর্যায়ে ৭০৫টি গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায় পর্যন্ত বরাদ্ধপ্রাপ্ত ৭০৫টি ঘরের মধ্যে গৃহ নির্মাণ পূর্বক হস্তান্তরের জন্য অবশিষ্ট গৃহের সংখ্যা ৭০টি। এছাড়া রামু উপজেলায় চতুর্থ পর্যায়ের বরাদ্ধপ্রাপ্ত গৃহের সংখ্য ৩৩২টি এবং এর মধ্যে ১ম ধাপে উদ্বোধন হয়েছে ১৩২টি। তৃতীয় পর্যায়ে বরাদ্ধপ্রাপ্ত গৃহের সংখ্যা ৪০০টি এবং এর মধ্যে মোট উদ্বোধন হয়েছে ৩৩০টি ঘর। তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ৭০টি গৃহ ও চতুর্থ পর্যায়ের ১ম ধাপের ১৩২টিসহ মোট ২০২টি গৃহ কাল বুধবার, ২২ মার্চ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলন আরও জানানো হয়- বুধবার উদ্বোধনের তালিকায় থাকা ২০২টি ঘরের মধ্যে তৃতীয় পর্ষায়ে রামু উপজেলার রাজারকুর ইউনিয়নে ২০টি, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পানের ছড়া এলাকায় ২টি, চাইন্দা এলাকায় ১টি, রশিদনগর ইউনিয়নে ৩২টি, ঈদগড় ইউনিয়নে ১১টি, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নে ১টি, খুনিয়াপালং ইউনিয়নে ২টি, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে ১টিসহ মোট ৭০টি গৃহ। ৪র্থ পর্যায়ে রাজারকুল ইউনিয়নের ঢালার মূখ এলাকায় ১৬টি, রাজারকুল ইউনিয়নের চৌকিদার পাড়া এলাকায় ৪৭টি, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নে ২৫টি, রশিদনগর ইউনিয়নে ৪২টিসহ মোট ১৩২টি গৃহ।
সংবাদ সম্মেলনে ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা বলেন- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাঙ্গালী জাতি একটি উন্নত জীবন পাবে। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে এত বিপুল সংখ্যক ভূমিহীন- গৃহহীন পরিবার পূনর্বাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দৃঢ় প্রত্যয়ের প্রমাণ রেখেছেন। গৃহ প্রদানের পাশাপাশি নির্মিত গৃহে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেছেন। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের এরূপ জমিসহ গৃহ প্রদান ইতিহাসে প্রথম এবং সর্ববৃহৎ উদ্যোগ। এ উদ্যোগ ইতিমধ্যে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে রামু প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ ও কর্মরত সাংবাদিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।