অাবুল কাশেম সাগর,রামু::
রামুতে ক্রিকেট খেলার জেরে বন্ধুদের ব্যাটের অাঘাতে গুরুতর অাহত কলেজ ছাত্র অাবু সায়েম মাহমুদ (১৭) দীর্ঘ এক সপ্তাহ ধরে চট্রগ্রামে চিকিতসারত অবস্হায় মৃত্যু বরণ করেছেন। রবিবার ( ১৫ মে) সন্ধ্যা ৬টায় চট্রগ্রামের পিএসটিসি ( ট্রিটম্যান্ট) হাসপাতালে চিকিতসাধীন অবস্হায় তার মৃত্যু হয়।নিহতের মেজ ভাই বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সৈনিক মাহবুব অালম মৃত্যুর বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চত করেছেন। জানা গেছে, নিহত অাবু সায়েম মাহমুদ রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের পূর্ব মেরুংলোয়া গ্রামের ছাবের অাহমদের ছোট ছেলে। ভাই বোনদের মধ্যে সে সকলে ছোট।সে চলতি বছরে কক্সবাজার সরকারী কলেজের মানবিক শাখার প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্র ছিলেন।স্হানীয় ও সায়েমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মে স্হানীয় ক্রিকেট একটি খেলার মাঠে এলাকার ছেলেদের সাথে খেলার বিষয়ে নিহত সায়েমের সাথে স্হানীয় কিছু ছেলেদের সাথে কাটকাটি হলে খেলা শেষে বাড়ি ফেরার প্রতিমধ্যে স্হানীয় রবিউল হাসান বাবু (১৭), রবিউল হাসান রবিন (১৮), অাব্দুর রহিম (১৭) ও মো.হারুন তাকে ( সায়েমকে) গতিরোধ করে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে মাথায় ও শরীরে বিভিন্ন অংশে অাঘাত করলে সায়েম গুরুতর অাহত হলে প্রথমে কক্সবাজার হাসপাতাল ও পরবর্তীতে চমেকে ভর্তি হয়। মাথায় মারাত্মক অাঘাতের ফলে ১০ মে মাথায় অপারেশন করলে অবশেষে রবিবার সন্ধ্যায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় রামু থানায় নিহতে পিতা ছাবের অাহমদ বাদী হয়ে রামু থানায় মামলা রুজু করেছে এবং উক্ত ঘটনায় মনু নামে এক জনকে অাটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এদিকে নিহত সায়েমের উপর বর্বর হামলাকারীদের গ্রেফ্তার ও শাস্তির দাবীতে ১৩ মে শুক্রবার রামু চৌমুহনী চত্বরে বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে সরকারী কলেজের ছাত ছাত্রী ও স্হানীয়রা। ঘটনার ৬দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ও মূল অপরাধীদের এখনো পর্ষন্ত অাটক না হওয়ায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।নিহতের লাশ সোমবার ময়না তদন্ত শেষে বিকালে রামু পৌছার কথা রয়েছে।
পাঠকের মতামত