রামুতে দাফনের ৩ মাস পর আদালতের নির্দেশে এক নবজাতকের মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ৫ মার্চ রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় আদালতের নির্দেশে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন মৌলভীর কাটা মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান থেকে এ মৃতদেহ উত্তোলন করেন। উত্তোলনকৃত নবজাতকের (কন্যা শিশু) একই এলাকার নুর মোহাম্মদ ও আমেনা বেগমের ৫ম সন্তান।
কক্সবাজার পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানান- মামলার অগ্রগতির জন্য কবর থেকে এই নবজাতকের মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা প্রয়োজন বিধায়, আমরা আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করেছি। ময়নাতদন্ত শেষে আবারও পুনঃ দাফন করা হবে।
মৃতদেহ উত্তোলনের সময় কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের এমইউপি মোহাম্মদ ইউনুছ,রামু থানার গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়িঁর এসআই মোজাম্মেল, কচ্ছপিয়া দক্ষিন মৌলভীর কাটা বায়তুল মামুর জামে মসজিদের মাওলানা আব্দুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কামাল উদ্দিন গং নুর মোহাম্মদের স্ত্রীকে পেটে আঘাত করলে তার স্ত্রীর গর্ভে থাকা ৬ মাসের সন্তান মৃত প্রসব হয়। এ ঘটনায় গত ২৭ ডিসেম্বর কচ্ছপিয়া মৌলভীর কাটা এলাকার মৃত ফরুক আহমদের পুত্র নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে একই এলাকার মৃত নুরুজ্জামানের পুত্র কামাল উদ্দিন সহ ৬ জনকে আসামী করে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৫৭৩/২২। এ মামলার প্রেক্ষিতে নবজাতকের মৃতদেহ উত্তোলন করার নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।
সোয়েব সাঈদ, রামু
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা শরনার্থী জীবন থেকে মুক্তি পেতে নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে তারা ...
পাঠকের মতামত