আবদুল মালেক সিকদার রামু ::
রামুতে বন্ধুর বউ কে নিয়ে পালিয়েছে বন্ধু। ঘটনাটি ঘটেছে জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের নন্দাখালী মোরাপাড়া এলাকায়। কক্সবাজার সদর উপজেলা চৌফদন্ডী মধ্যম মাইজপাড়া এলাকার ফরিদুল আলমের মেয়ে ফরিদা ইয়াছমিনের সাথে ১৩ই ডিসেম্বর ২০১৯ সালে পারিবারিকভাবে
ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের নন্দাখালী মোরাপাড়া এলাকার আবদুল করিমের ছেলে সাহেদ হোছনের সাথে বিবাহ হয়। আরিয়ান হোছেন নামে তাদের ঘরে রয়েছে দুই বছর বয়সের এক ছেলে সন্তান , তাদের সংসার চলছিল খুব সুন্দর ভাবে। নেই কোন ঝগড়া বিভেদ। সাহেদ হোছনের সাথে বন্ধুত্ব হয় ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসেরচর চর পাড়া এলাকার মৃত নুর আহাম্মদ প্রকাশ মনিয়ার ছেলে কায়সার প্রকাশ শিবুর সাথে। তারা দুই বন্ধু একজন আর একজনের বাড়িতে আসা যাওয়া করত, পারিবারিক ভাবে তাদের দুই বন্ধুর মধ্যে রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক । কায়সার প্রকাশ শিবু বন্ধুত্বের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বন্ধু সাহেদ হোছনের স্ত্রী ফরিদা ইয়াছমিনের সাথে গোপনে গড়েতুলে প্রেমের সম্পর্ক , তাদের দুই জনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের কথা জানত না সাহেদ হোছন, গত ৯ ই এপ্রিল বিকাল ৫ টার সময় স্বামী সাহেদ হোছন বাহিরে থাকার সুযোগে বাড়িতে শাশুড়ী কে ঘুমে রেখে কায়সার প্রকাশ শিবুর সাথে দুই বছর বয়সের ছেলে আরিয়ান হোছেন কে নিয়ে পালিয়ে যায় স্ত্রী ফরিদা ইয়াছমিন। সাথে নিয়ে যায় স্বামী সাহেদ হোছনের তিলতিল করে জমানো ৫০ হাজার নগদ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণ। তাদের কে অনেক খোঁজাখুঁজি করে খবর না পেয়ে রামু থানায় করেন জিডি ও রামু জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্সবাজারে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী সাহেদ হোছন।
সাহেদ হোছন জানান আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল কায়সার প্রকাশ শিবু, কিন্তু আমারা দুই বন্ধু পারিবারিক ভাবে ভাল সম্পর্ক ছিল। আমার স্ত্রীর সাথে শিবুর সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল তা আমি জানতাম না। ঘটনার দিন আমি জীবিকার তাগিদে গাড়ী নিয়ে বাহিরে ছিলাম। শিবু আমার স্ত্রী ফরিদা ইয়াছমিন ও আমার ছেলে আরিয়ান হোছেন কে নিয়ে পালিয়ে যাবে তা আমি কোন দিন কল্পনা ও করি নাই, নিয়ে গেছে আমার জমানো টাকা ও স্বর্ণালংকার।
তারা দুই জন কে খুঁজে বাহির করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান ভুক্তভোগী সাহেদ হোছন।