কক্সবাজারের রামুর গহীন পাহাড়ে একটি বাচ্চা হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি একটি এশিয়ান হাতি। হাতিটি নারী জাতের। হাতিটির বয়স আনুমানিক ৭-৮ বছর। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে হাতিটিকে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে রামু উপজেলার পানেরছড়া এলাকার হোয়ারিয়াঘোনা পাহাড় থেকে এই বাচ্চা হাতির মরদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। স্থানীয়রা জানান, প্রায় সময় হাতিটি এই এলাকায় ঘুরাঘুরি করে। কোনো দুষ্কৃতকারী রাতের আঁধারে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে হাতিটি হত্যা করেছে। হাতি বনের সম্পদ। এই হাতি রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। হাতি হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে হাতি হত্যা বন্ধ করা যাবে না। সংশ্লিষ্টদের এই বিষয়ে আরও কঠোর হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ডিএফও) সরওয়ার আলম জানান, ৭-৮ বছরের হাতিটি নারী জাতের। প্রাথমিকভাবে খাদ্যে বিষক্রিয়াজনিত কারণে এটি মারা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আবার অনেকেই বলছেন বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে এটিকে হত্যা করা হয়েছে। তবে বৈদ্যুতিক তারে হত্যার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। হাতির শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। হাতির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও হাতি হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। নমুনা ঢাকা পাঠানো হচ্ছে। ফরেনসিক বিভাগের পরীক্ষার পর, রিপোর্ট দেখলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। হাতিটি যে স্থানে মারা গেছে তার একটু দূরে বৈদ্যুতিক তার সম্বলিত একটি মেশিন চলমান রয়েছে এবং তার পাশে একটি ঘর আছে। আমরা প্রাথমিকভাবে তাদের সন্দেহ করছি। হাতি মৃত্যুর ঘটনায় বন বিভাগ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সরওয়ার আলম আরও জানান, ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন করে মঙ্গলবার দুপুরের পর হাতিটি মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।