রামুর মেরংলোয়া গ্রামে ক্রিকেট খেলা নিয়ে তর্কাতর্কি ও হামলাতে চিকিৎসাধীন কক্সবাজার সরকারী কলেজ ছাত্র আবু সায়েম মাহমুদের (১৭) মৃত্যুর অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামী রবিউল হোসাইন বাবুকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার সময় ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর দাতমাড়া এলাকা থেকে রবিউল হোসাইন বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আবু সায়েম মাহমুদের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী রবিউল হোসাইন বাবুকে গ্রেফতারের খবর শুক্রবার সকালে মেরংলোয়া গ্রামে পৌঁছালে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে মিছিল করে এলাকাবাসী। আটক রবিউল হোসাইন বাবু রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের পূর্ব মেরংলোয়া গ্রামের মনোয়ার হোসাইনের ছেলে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা রামু থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহসান হাবিব জানান, কলেজ ছাত্র আবু সায়েম মাহমুদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত রবিউল হোসাইন বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদেরও গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, ক্রিকেট বন্ধুদের সাথে খেলার মাঠে তর্কাতর্কি, এক পর্যায়ে ব্যাট দিয়ে মাথা ও শরীরে প্রহার করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কক্সবাজার সরকারী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আবু সায়েম মাহমুদের মৃত্যু হয়। আবু সায়েম মাহমুদ রামু উপজেরার ফতেখারকুল ইউনিয়নের পূর্ব মেরংলোয়া গ্রামের ছাবের আহমদের ছোট ছেলে আবু সায়েম মাহমুদ ও সেনা সদস্য মাহবুব আলমের ছোট ভাই। ছেলে মৃত্যুর ঘটনায় নিয়ে পিতা ছাবের আহমদ ৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে আটক রবিউল হোসাইন বাবুর পিতা মনোয়ার হোসাইনকেও পুলিশ গ্রেফতার করেন। এ মামলায় অপর অভিযুক্তরা হলেন, রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের পূর্ব মেরংলোয়া এলাকার মোহাম্মদ নবীর ছেলে রবিউল হোসেন ওরফে রবিন (১৯), নুরুল ইসলামের ছেলে মো. হারুন (১৯), ছিদ্দিক আহমদ ফকিরের ছেলে মোহাম্মদ নবী (৪৫), মৃত শামশুল আলমের ছেলে কবির আহমদ ওরফে কালা মনু (৪৬) ও তাঁর ছেলে আবদুর রহিম (১৮), মৃত কবির ফকিরের ছেলে নুরুল ইসলাম (৪৩)।
আবু সায়েম মাহমুদের বড় ভাই ইউনুচ জানান, গত ৯ মে আবু সায়েম পাড়ার একটি মাঠে ক্রিকেট খেলছিলেন। খেলার কোনো এক বিষয় নিয়ে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের সাথে খেলা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। অন্যদের মধ্যস্থতায় তাৎক্ষনিক তর্কতর্কির ঘটনা মাঠেই শেষ হয়ে যায়। একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিউল হোসাইন বাবুর নেতৃত্বে পরিকল্পিত ভাবে হামলা করে, তার ভাইকে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সকল আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, গত ১৫ মে রোববার চট্টগ্রাম সিএসটিসিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ক্রিকেট খেলা নিয়ে হওয়া হামলার শিকার কক্সবাজার সরকারী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আবু সায়েম মাহমুদ। তিনি দীর্ঘ ছয় দিন পর সিএসটিসিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে ৯ মে সোমবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের পূর্ব মেরংলোয়া মসজিদের সামনে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন কক্সবাজার সরকারী কলেজের এ ছাত্র। –
স্টাফ রিপোর্টার, রামু :
গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ...
পাঠকের মতামত