জাহাঙ্গীর আলম শামস:
ইদানিং দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ বুঝে হোক আর না বোঝে হোক কারণে অকারণে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে । তারই ধারাবাহিকতায় মাঠ প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসনের সাথে সেনাবাহিণী মাঠে থেকেও এ অবোঝ জনগোষ্ঠীকে ঘরে রাখথে হিমশিম খাচ্ছে । সাধারণ জনতাকে ঘরে রাখতে এলাকাবাসীও প্রশাসনকে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করে আসছে । এলাকাবাসী নিজ নিজ এলাকা লক ডাউন করার নামে রাস্তায় বেরিকেড দিয়ে সব কিছু আটকিয়ে দিচ্ছে ।এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া । কোথাও সিভিল প্রশাসনের কোন কর্তা এর সমর্থন করছে কি না?আবার কোন কোন কর্তা এর ঘোড় বিরোধীতা করছে ।
আবার পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সাংবাদিক সুধীজন,আইনজ্ঞসহ সাধারণ জনতাও রয়েছে চরম দ্বিধাদ্বন্দে । কারও কারও মতে রাস্তায় ব্যারিকেড দিলে কি সমস্যা হতে পারে তা তুলে ধরা হল ।আপনার এলাকায় আগুন লাগলো,ফায়ার সার্ভিস প্রবেশ করতে পারবে?
গভীর রাতে একজন জরুরী রোগীকে বা গর্ভবতী মহিলা কে হাসপাতালে নিতে হচ্ছে,তখন কি হতে পারে?
এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে কিভাবে যাবে??মাদক ব্যবসা,জুয়ার আসর,সন্ত্রাসী কার্যকলাপে নিরাপদ ব্যবস্থা আপনাদের দেওয়া ব্যারিকেড কার্যকর ভূমিকা রাখবে কিনা?লকডাউন মানে রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়াকে বলেনা,লকডাউন মানে নিজেকে ঘরের ভিতর সুরক্ষা রাখা৷
এলাকার প্রবেশ পথে ব্যারিকেড দিয়ে আপনারা জুয়া খেলবেন,বাড়ির ভিতর ঘুরাফেরা করবেন,সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশ এলাকায় প্রবেশ করতে গেলে রাস্তায় ব্যারিকেড থাকলে আপনাদের সুবিধা হওয়ার নাম লকডাউন নয়৷
নিজেই ঘরের ভিতরে থাকুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন৷ মানুষের বিপদে চলাচল বিঘ্ন করতে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে আইনগত অপরাধ করতেছেন৷
লকডাউন করতে চান নিজের ঘরের দরজা লক করুন, অহেতুক বাহিরে আসা থেকে বিরত থাকুন৷
বেড়িকেডের পক্ষে একটাই যুক্তি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা । আর এ বেড়িকেডের ফলে বেপরোয়া জনতাকে কতটুকু ঘরে থাকা নিশ্চিত করা গেছে প্রিয় পাঠক আপনারাই ভাল বলতে পারবেন ।