নিউজ ডেস্ক : ফাঁসি বহাল রেখে দেশের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর রিভিউ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় ও সাজা কার্যকরের জন্য অবহিতপত্র কেরানিগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌছেছে। সেখান থেকে মীর কাসেমকে রায় শোনাতে পাঠানো হবে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ।
সেখানকার কনডেম সেলে বন্দি মীর কাসেমকে রায় শুনিয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হবে, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না।
প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা চাওয়ার পর আবেদন নাকচ হলে মৃত্যুদ- কার্যকর করতে আর কোনো বাধা থাকবে না। আইন অনুসারে তখন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেকোনো সময় ফাঁসির রায় কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। আপিল বিভাগ থেকে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে পূর্ণাঙ্গ রায়টি পাঠানো হয় বিচারিক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান রায়ের কপি ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসেন। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার শহীদুল আলম ঝিনুক তা গ্রহণ করেন। এরপর ফাঁসি কার্যকরের জন্য অবহিতপত্র তৈরি করা হয়। রায় ও অবহিতপত্রে স্বাক্ষর করেন ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতি।
সন্ধ্যা সাতটা বিশ মিনিটে সেগুলো নিয়ে কেরানিগঞ্জ কারাগারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র গবেষণা কর্মকর্তা ফাহিম ফয়সাল।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার শহীদুল আলম ঝিনুক জানান, এসব কাগজপত্র বুধবার (৩১ আগস্ট) সকালে পাঠানো হবে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় এবং ঢাকার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা প্রশাসক) কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে।