রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী রিশা হত্যায় অভিযুক্ত ওবায়দুলকে নীলফামারীর ডোমার থেকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগে মঙ্গলবার ওবায়দুলের বোন খাদিজা বেগম এবং দুলাভাই খাদেমুল ইসলামকে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে আটক করে পুলিশ। তবে সে সময় পালিয়ে যায় ঘাতক ওবায়দুল।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর রমনা থানার এসআই মোশারফ হোসেন বীরগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওবায়দুলের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গীতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওবায়দুলের বোন ও দুলাভাইকে আটক করা হয়।
গত ২৪ আগস্ট বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুলের পাশে ব্রিজের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় রিশাকে পাওয়া যায়। পরে স্কুলের অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনে। পেটের বাঁ পাশে ছুরির আঘাতে নাড়ি বের হয়ে যায় তার। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রিশার।
ঘটনার পরদিন রিশার মা বাদী হয়ে ওবায়দুলকে একমাত্র আসামি করে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, ছয় মাস আগে মায়ের (তানিয়া হোসেন) সঙ্গে ইস্টার্ন মল্লিকার শপিং কমপ্লেক্সের বৈশাখী টেইলার্সে যায় রিশা। সেখানে একটি ড্রেস সেলাই করতে দেয়। দোকানের রিসিটে বাসার ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়। রিসিট থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে ওবায়দুল ফোনে রিশাকে বিরক্ত করত। স্কুলে যাতায়াত করার সময় রিশাকে উত্ত্যক্ত করত।