কক্সবাজারে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের এই পরিমাণ রেকর্ড করা হয়। চলতি মৌসুমে এটি একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
কক্সবাজার শহরের সব সড়ক তলিয়ে যাওয়ার ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে শহরবাসী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা এ (রিপোর্ট) লেখা পর্যন্ত) টানা বৃষ্টিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। শহরের পাশাপাশি জেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
এদিকে টানা ভারী বর্ষণে কক্সবাজারে পাহাড়ধসে ছয়জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন শহরতলির ঝিলংজার দক্ষিণ ডিককুল এলাকায় বাসিন্দা ও তিনজন উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, টানা ভারী বর্ষণে কক্সবাজার শহরের ৯০ শতাংশ এলাকা ডুবেছে। শহরের প্রধান সড়ক, সৈকত সড়কসহ অন্তত ৩৫টি উপসড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে কয়েক শ দোকানপাটের মালামাল নষ্ট হয়েছে। হাজারো ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারণে সৈকতে হোটেল মোটেল জোনের ১৮টি সড়ক ডুবে গেছে।
পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেলের কয়েক হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছের পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সারা দেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। একইসঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নীলফামারী, চুয়াডাঙ্গা এবং কুষ্টিয়া জেলাসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।