কাতার বিশ্বকাপের মধ্যে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে চুক্তি বাতিল করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ফ্রি এজেন্টে থাকা সিআরসেভেনের সঙ্গে আড়াই বছরের জন্য চুক্তি করেছে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসের। ওই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি বছর তিনি ক্লাব থেকে ২০৭ মিলিয়ন ডলার আয় করবেন। বাংলাদেশের হিসেবে যা প্রায় দুই হাজার ১৪০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
ওই চুক্তি রোনালদোকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতনভুক্ত খেলোয়াড়ে পরিণত করেছে। ক্লাব থেকে প্রতি মাসে তার আয় ১৭.২ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৭৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সপ্তাহে ৪.৯ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৫০ কোটি টাকা। প্রতিদিন ছয় লাখ ১৪ হাজার ডলার বা প্রায় ছয় কোটি টাকা এবং প্রতি মিনিটে তার আয় প্রায় ৪৪ হাজার টাকা।
সৌদি ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করায় রোনালদো খেলোয়াড় মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অর্থ আয় করবেন। পিএসজির কিলিয়ান এমবাপ্পে আছেন দুইয়ে। তার বেতন বছরে ১১০ মিলিয়ন ডলার। তিনে আছেন গলফ খেলোয়াড় ফিল মিকেলসন। তার বেতন ১০২ মিলিয়ন ডলার। চারে আছেন গল্ফার ডাস্টিন জনসন। তিনি পান বছরে ৬৮ মিলিয়ন ডলার। বক্সার কেনেলো আলভারেজ পান ৭৩ মিলিয়ন ডলার।
রোনালদো এই বিশাল অঙ্কের বেতন অবশ্য শুধু খেলার জন্য পাবেন না। আল নাসেরের হয়ে ফুটবল খেলার জন্য বছরে ৭৪ মিলিয়ন ডলার বেতন পাবেন পর্তুগিজ যুবরাজ। বাকি অর্থ পাবেন ইমেজ স্বত্ত্ব, বাণিজ্যিক চুক্তি এবং শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করার জন্য। মূলত, রোনালদোকে সৌদি ক্লাব চুক্তি করিয়েছে একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে।
আবর দেশ কাতারের মতো ২০৩০ ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় পেট্রো ডলারের ওপর ভাসা সৌদি আরব। সেজন্য লাতিন আমেরিকার আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে এবং ইউরোপের স্পেন-পর্তুগালের সঙ্গে প্রস্তাবনা জমা দেবে সৌদি আরব। রোনালদো সৌদির ক্লাবে খেললে দেশটির ফুটবলের খবর পাবে বিশ্ববাসী। সৌদির আর্থিক কাঠামো, ফুটবল কাঠানো সম্পর্কে ধারণা পাবে। যা তাদের বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার প্রস্তাবনা বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ