উখিয়া নিউজ ডেস্ক:;
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদে অবস্থানের কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা জনস্রোতে নজিরবিহীন মানবিক সংকটে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে সাড়া দিয়েছে। সীমান্ত উন্মুক্ত রেখে তাদের প্রবেশ করতে দিয়েছে। তবে তাদের দীর্ঘমেয়াদে অবস্থানের কোনো সুযোগ নেই। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চাই।
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে নুরুল ইসলাম মিলনের (কুমিল্লা-৮) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এরআগে বিকাল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা স্থানীয় জনগোষ্ঠি এবং প্রতিবেশের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করছে। সংরক্ষিত বনভূমি উজাড় এবং ব্যাপকভাবে পাহাড় কাঁটার ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। ডিপথেরিয়া, পোলিও, এইচআইভিসহ (এইডস) অন্যান্য সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অবস্থানের ফলে মানব পাচার, মাদকদ্রব্য চোরাচালানসহ সংঘবদ্ধ অন্যান্য অপরাধের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিমসটেক ফোরামে দ্বি-পাকিক্ষ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে সমস্যাটি বাংলাদেশ মিয়ানমারের দ্বি-পাক্ষিক বিষয় সংশ্লিষ্ট হওয়াতে শুধু দ্বিপাক্ষিকভাবেই আলোচনার সুযোগ রয়েছে। বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের জন্য আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যাপক দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে, ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে তিনটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। পাশাপাশি চুক্তি বাস্তবায়নে মিয়ানমারের উপর অব্যাহতভাবে চাপ প্রয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এক ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে মিয়ানমার কর্তৃক রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক বাংলাদেশ হতে বিতাড়িত করা ইস্যুতে তদন্ত পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এছাড়া দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ হতে মিয়ানমার সরকারের উপর অব্যাহতভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সম্পর্কিত এম এ মালেকের (ঢাকা-২০) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদকে জানান, জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি) ২০৩০ অর্জনের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত জনপদ গড়ার লক্ষ্যে রূপকল্প-২০৪১ এবং বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রণয়ন করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত