ইসলাম ডেস্ক : রমজানের রোজা এমন এক ইবাদত যার প্রতিদান সুনির্ধারিত। হাদিসে কুদসিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস বর্ণনা করেছেন।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রত্যেকটি আমল বৃদ্ধি করা হয়। আর তাদের প্রতিটি নেকি দশ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হবে। তবে সিয়াম (রোজা) ব্যতিত। কেননা সিয়াম বা রোজা শুধুমাত্র আমারই জন্য রাখা হয় আর আমিই তার প্রতিদান দেব।
বান্দা আমার জন্যই তার কামনা-বাসনা ও পানাহার ত্যাগ করে। রোজাদারের দু’টি আনন্দ। একটি ইফতার করার সময় আর অপরটি কেয়ামাতে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়। যার হাতে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন, তাঁর কসম! রোজাদারের মুখের গন্ধ কেয়ামাতের দিন আল্লাহর কাছে মেশক আম্বরের চেয়েও বেশি খোশবুদার হবে। (বুখারি ও মুসলিম)
কিন্তু উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য এমন ৫টি পুরস্কার রয়েছে, যা অন্য কোনো নবি-রাসুলের উম্মতকে দেয়া হয়নি। হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ বায়হাকিতে তা বর্ণিত হয়েছে।
হজরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মতকে এমন পাঁচটি বিষয় দান করা হয়েছে, যা আগের কোনো উম্মতকে দেয়া হয়নি। আর তাহলো-
>> রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশক আম্বরের চেয়ে উত্তম।
>> রোজাদারের প্রতি আল্লাহ এত বেশি খুশি হন, তার কোনো কিছুই আল্লাহর কাছে মন্দ লাগবে না।
>> রোজাদার আল্লাহর কাছে অতিপ্রিয় হন বলেই তার (রোজাদারের) সব কাজই আল্লাহর প্রিয় হয়ে যায়।
>> রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা রহমতের দোয়া করতে থাকেন। (যা সাহরি করার পর থেকেই শুরু হয়)
>> রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা জান্নাতকে প্রতিদিন নতুন করে সাজাতে থাকেন।
সুতরাং আল্লাহ তাআলা নির্দেশ পালন করে কুরআন নাজিলের মাস রমজানে রোজা পালন করা। রোজা পালনের মাধ্যমে বান্দার জীবনে মহান আল্লাহ তাআলা বিশেষ বিশেষ গুণের বাস্তবায়ন করা জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ঘোষিত নেয়ামত ও পুরস্কার লাভে যথাযথভাবে রোজা পালন করার তাওফিক দান করুন। রমজানের রোজার পবিত্রতা, তাৎপর্য ও মহত্ব বজায় রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।