আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
মিয়ানমারের মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন (আরাকান) রাজ্যের সহিংসতা তদন্তে গঠিত একটি কমিশন রোহিঙ্গাদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ‘সত্য নয়’ বলে বয়ান করেছে।
বুধবার প্রকাশিত কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে এ বয়ান দেয়া হয়।
দেশটির সরকারি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কমিশন বলছে, ‘‘অশান্তি বিরাজ করা এলাকাগুলোতে ‘বেঙ্গলি’ (রোহিঙ্গাদের এভাবেই ডাকে মিয়ানমার) জনসংখ্যার পরিমাণ ও মসজিদসহ সেখানকার অন্যান্য ধর্মীয় ভবনগুলোর অবস্থা এটিই প্রমাণ করছে যে, সেখানে কোনো গণহত্যা কিংবা ধর্মীয় নিপীড়নের ঘটনা ঘটেনি।’’
সেনাবাহিনীর সাবেক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত ওই কমিশন নারী ধর্ষণের ‘পর্যাপ্ত প্রমাণ’ পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে। তারা জানায়, রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন লাগানো, অবৈধভাবে গ্রেপ্তার আর নিপীড়ন করার বিষয়ে এখনো তদন্ত চলছে।
রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার পুলিশের নির্যাতন চালানোর একটি ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর কমিশনের এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো। ভিডিওর প্রেক্ষিতে চার পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে ভিটেছাড়া করা থেকে বাঁচতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা ইতিমধ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারাই নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বর্ববরতার অভিযোগ করছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। তবে মিয়ানমার সরকার এখন পর্যন্ত সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে
পাঠকের মতামত