নিউইয়র্ক: কক্সবাজারে আসা রোহিঙ্গাদের ওপর মায়ানমার সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ মিলিশিয়াদের যৌন নির্যাতন ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার প্রতিবেদনে উদ্বেগ ও হতাশা ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার প্রধান।
মায়ানমার সেনাদের হাতে শত শত রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের ধর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার এই হতাশা প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রধান উইলিয়াম লাসি সুইং।
মায়ানমার সরকার মিডিয়ার এই সংবাদকে অস্বীকার করছে। কিন্তু বিষয়টি তদন্তের জন্য দেশটিতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দিচ্ছে না।
রাখাইনে গত ২৫ আগস্ট থেকে মায়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু পর থেকে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৪৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারে পৌঁছেছেন। সেখানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সমন্বয় করছে আইওএম।
বুধবার সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মায়ানমারের সাম্প্রতিক ঘটনায় ‘সহিংস যৌন হামলার’ শিকার কয়েক ডজন নারীকে চিকিৎসা প্রদান করেছে আইওএম’র ডাক্তাররা।’
এতে বলা হয়, ধর্ষণের এই সংখ্যা প্রকৃত চিত্রের একটি ‘সামান্য অংশ’ হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করে।
সুইং জানান, এই ধরনের ভয়াবহ সহিংসতা এবং অপব্যবহারের ঘটনার অনেক রিপোর্ট তারা পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পুরুষ ও কিশোর-তরুণসহ নারী ও মেয়ে শিশুদেরকে বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে এবং সমাজে তাদের লিঙ্গ, বয়স ও অবস্থানের কারণে তারা আরো শোষণ, সহিংসতা এবং নির্যাতনের ঝুঁকিতে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আইওএম বেঁচে যাওয়াদের সহায়তা করছে। কিন্তু শুধুমাত্র জ্ঞাত ঘটনার মাধ্যমে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার মাত্রা বুঝার চেষ্টা করা অসম্ভব।’
ধারণা করা হচ্ছে সাম্প্রতিক সহিংসতায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্য প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গা নারী এবং অল্পবয়সী মেয়েরা এসেছে।
মায়ানমার সৈন্যদের হাতে নিজেদের ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা আল জাজিরাকে জানান দুই বোন।
২৫ বছর বয়সী মিনারা বলেন, ‘সামরিক বাহিনী আমাদেরকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে পৈশাচিক নির্যাতন করেছে। তারা আমাদের পিতা-মাতাকে খুন করেছে।’
তার বোন আজিজা (২২) জানান, দুইজন সৈন্য তাকে ধর্ষণ করলে পড়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন।
সূত্র: আলজাজিরা