মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নাগরিকদের কারণে নতুন ভোটার হতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল চট্টগ্রামের স্থানীয় বাসিন্ধাদের। এই ভোগান্তি লাগবে নতুন উদ্যেগ গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন থেকে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষদের ভোটার নিবন্ধনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বৈধ কাগজ থাকলে তাদের রোহিঙ্গা ক্যাটাগরিতে না ফেলে নিবন্ধন সহজ করার তাগিদ দিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
চট্টগ্রামের কক্সবাজার জেলায় ২০১৮ সালে রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে সাধারণ মানুষ যথাযথ কাগজপত্র দিয়েও বিশেষ কমিটির ছাড়পত্র ছাড়া ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে পারতো না। ফলে অনেক নাগরিক তাদের জরুরি কাজে জাতীয় পরিচত্র ছাড়া ভোগান্তিতে পড়েন।
সম্প্রতি ইসির মাসিক সমন্বয় সভায় নতুন সচিব শফিউল আজিম চট্টগ্রাম অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দা যারা নতুন ভোটার হতে চায় তাদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা নতুন সিদ্ধান্ত নেন।
এর আগে রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকাতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৩২টি উপজেলাকে বিশেষ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে নির্বাচন কমিশন। এসব উপজেলায় নিবন্ধন কার্যক্রম যাচাই-বাচাই করার জন্য একটি ১৫ সদস্যর কমিটি গঠন করা হয়। ফলে চট্টগ্রামের অনেক বাসিন্ধা চাইলেই ভোটার তালিকায় তাদের নাম সংযুক্ত করে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ভোগান্তি কমাতে প্রয়োজনে এ সংক্রান্ত নীতিমালা পরিবর্তনের আবাস দিয়েছে ইসি।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ইসি সচিব শফিউল আজিম সভায় কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে একাধিক নির্দেশনা দেন। কর্মকর্তাদের তিনি বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে ইসির বিশেষ এলাকার যেসব নাগরিকের একাডেমিক সনদ বা বৈধ কাগজপত্র আছে তাদের সন্দেহভাজন রোহিঙ্গাদের মতো একই ক্যাটাগরিতে না ফেলে তাদের ভোটার নিবন্ধন সহজ করতে হবে।
শফিউল আজিম বলেন, এ অঞ্চলের বিশেষ এলাকায় ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমে যে কমিটি রয়েছে তা পুর্নগঠন ও তাদের কার্যপরিধি হালানাগাদ প্রয়োজন। এজন্য আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে হালানাগাদের সুপারিশসহ দু’সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশন পাঠাতে হবে।
সেই সঙ্গে এনআইডি সংশোধনে হয়রানির বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্র সেবা সংক্রান্ত অনিয়মসহ বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত সময়ের মধ্য শেষ করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।