চট্টগ্রাম: রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে চট্টগ্রামে হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের ঝুঁকি বেশি বলে মন্তব্য করেছেন লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেপাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।
শনিবার (২৯ জুলাই) নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে হেপাটাইটিস রোগী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. আবদুল্লাহ বলেন, দূষিত পানি ও অনিরাপদ খাবারের মাধ্যমে হেপাটাইটিস এ এবং ই ভাইরাস ছড়ায়। তবে হেপাটাইটিস বি, সি এবং ডি ভাইরাস ছড়ায় শিরায় মাদক গ্রহণ, অঙ্গ প্রতিস্থাপন ও অনিরাপদ অপারেশন, ঝুঁকিপূর্ণভাবে কান ফোঁড়ানো, খতনা, ট্যাটু করা, সূচ ও ইঞ্জেকশন, হেমোডায়ালাইসিস, সংক্রমিত দাঁতের সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি, অরক্ষিত যৌনাভ্যাস, অন্যজনের শেভিং রেজার, ব্লেড, নেইল কাটার, গর্ভবর্তী মা থেকে শিশুর মধ্যে। এর মধ্যে বি, সি এবং ডি ভাইরাস ছড়ানোর অনেক উপকরণই রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশি।
তিনি বলেন, ৯৫ শতাংশ রোগী বুঝতে পারেন না তারা হেপাটাইটিস ভাইরাস বহন করছেন। অন্য কোনো রোগের চিকিৎসা কিংবা রক্তদানের সময় বাধ্যতামূলক পরীক্ষার সময় ধরা পড়ে। হেপাটাইটিস বি ভাইরাস এইডসের চেযে ভয়াবহ হলেও হইচই হচ্ছে না কারণ এটি তৃতীয় বিশ্বের রোগ। উন্নত বিশ্বের হেপাটাইটিস সি ভাইরাস বেশি। দেশে প্রতি বছর ২৫ হাজার মানুষ বি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বছরে এ রোগের চিকিৎসায় ব্যয় হয় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।
সরকার ওষুধ শিল্পের শুল্কছাড়সহ নানান প্রণোদনা দেওয়ায় বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও প্রচলিত হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্তদের ওষুধগুলো দেশে উৎপাদিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে হেপাটাইটিসের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। একটি বিদেশি ট্যাবলেট যেখানে বিশ্ববাজারে ১৪-৭০ হাজার টাকা সেটি আমাদের দেশে মাত্র ৪০০-৭০০ টাকা। শুধু তাই নয়, প্রতিবছর উন্নত বিশ্বের প্রচুর রোগী বাংলাদেশে এসে হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের চিকিৎসা ও ওষুধ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
ডা. আবদুল্লাহ বলেন, সচেতনতার মাধ্যমে এ রোগ থেকে আমরা নিরাপদ থাকতে পারি। একমাত্র প্রতিরোধ ছাড়া এ রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করার উপায় নেই। যাদের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়নি তারা একেকজন এ ভাইরাসের রিজার্ভার হিসেবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং রোগ ছড়াচ্ছেন। সি ভাইরাসের কার্যকর চিকিৎসা আছে। সঠিক চিকিৎসায় ৯৫ শতাংশ রোগী সুস্থ থাকেন, আর হয় না। বি ভাইরাসে ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। এ ভাইরাস দমিয়ে