বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআরের সহকারী প্রতিনিধি (ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ) সু-জিন রি বলেন, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার থেকে শরণার্থীদের সর্বশেষ ঢলের পর ছয় বছর পার হয়েছে। আর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট এখন একটি প্রলম্বিত পরিস্থিতিতে রূপ নিয়েছে, যেখানে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী তাদের দৈনিক প্রয়োজন মেটাতে এখনও মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
তিনি বলেন, কোরিয়া সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে পাওয়া এই অনুদানের মাধ্যমে ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মর্যাদা ও কল্যাণে কাজ করতে পারবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমহ্রাসমান আর্থিক সহায়তার এই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার এই অবদান সত্যিই অমূল্য।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পাক ইয়ং-শিক বলেন, ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয়ের মাধ্যমে কোরিয়া বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগণের জন্য প্রতি বছর তিন থেকে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে।