নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে ৩২ লাখ মার্কিন ডলার দেবে দক্ষিণ কোরিয়া।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরীয় দূতাবাস থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দূতাবাস জানিয়েছে, কক্সবাজার ও ভাসানচরে কর্মরত ইউএনএইচসিআর, আইওএম, ডব্লিউএফপি, ইউনিসেফ এবং আইএফআরসির মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে এ মানবিক সহায়তা দেওয়া হবে।
তারা আরও জানিয়েছে, এ বছরের অর্থায়নের কিছু অংশ টানা দ্বিতীয়বারের মতো ভাসানচরের শরণার্থীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। দক্ষিল কোরিয়া ২০২১ সালে ভাসানচরে স্থানান্তরের সূচনা থেকে জাতিসংঘের কার্যক্রমকে সমর্থন করেছে। সেই সঙ্গে শরণার্থীদের আতিথ্যের জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের উদারতার স্বীকৃতি দিয়ে কক্সবাজারের স্থানীয়দের সহায়তা করার বিষয়েও জোর দিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া।
২০১৭ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য বছরে ৪ থেকে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিচ্ছে। এই অর্থ গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে—এলপিজি ও খাবারের ব্যবস্থা, ক্যাম্পে আগুনের প্রতিক্রিয়ায় মানবিক কার্যক্রম এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা রক্ষার জন্য পরিষেবার বিধান।
বার্ষিক নিয়মিত অর্থায়নের পাশাপাশি কোরিয়া উন্নয়ন সংস্থার (কোইকা) মাধ্যমে কক্সবাজারে মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা করা হচ্ছে। কোইকা ইউএনএফপিএর মাধ্যমে ২.৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ‘কক্সবাজারে কিশোরী ও নারীদের মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতির প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া, দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় এ বছর ‘রোহিঙ্গা নারীদের জন্য মনো-সামাজিক সহায়তা প্রকল্প’ চালু করা হয়েছে।
দূতাবাস জানিয়েছে যে, দক্ষিণ কোরিয়া শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার সরকারের মধ্যে সংলাপকে সমর্থন করে। তারা বিশ্বাস করে যে, যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের নিজ জন্মভূমিতে নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবর্তন হওয়া উচিত।