রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সদস্য ও উপসাগরীয় দেশগুলোর কাছে আরও সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছে। কক্সবাজারে বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান আরব নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বছরের শুরুতে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ আবেদন করল বাংলাদেশ। এই সপ্তাহে উপসাগরীয় অঞ্চলে ওআইসি এবং জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের একটি যৌথ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের শরণার্থীশিবিরগুলো পরিদর্শন করেছে।
ওআইসি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান এবং বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য আরও আর্থিক সংস্থান জোগাড় করাই এই সফরের লক্ষ্য।
জুনের শুরু থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহায়তা প্রতি মাসে জনপ্রতি ৮ ডলার বা দিনে ২৭ সেন্টে কমিয়ে আনা হয়েছে। জাতিসংঘের আওতাধীন সংস্থাটি তহবিল সংকট দেখিয়ে মার্চে প্রথমে ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ১০ করে।
মিজানুর রহমান আরব নিউজকে বলেছেন, ‘আমরা উপসাগরীয় দেশ এবং ওআইসি সদস্যদের কাছ আরও অর্থায়নের জন্য প্রতিনিধি দলের কাছে আবেদন করেছি। প্রতিনিধিদল কক্সবাজারে তহবিল সংকটসহ রোহিঙ্গাদের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চেয়েছিল। প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সরকারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
মিজানুর রহমান জানান, প্রতিনিধি দলে উপসাগরীয় সাহায্য সংস্থার প্রতিনিধিরাও ছিলেন। কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এবং কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টও ছিল। যারা ইতিমধ্যেই রোহিঙ্গাদের কল্যাণে এখানে কাজ করছে।
গত মে মাসে রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শন ওআইসির মহাসচিব হুসেইন ব্রাহিম তাহা বলেছিলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু ওআইসির শীর্ষ অগ্রাধিকার।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার বিষয়ক) মিয়া মইনুল কবির বলেন, এই সপ্তাহে জাতিসংঘ ও ওআইসির যৌথ প্রতিনিধি দলের সফরে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংকটই মুখ্য বিষয় ছিল। তারা রোহিঙ্গাদের জন্য দ্রুত তহবিল বরাদ্দের লক্ষ্যে কাজ করেছে।’
এই পরিস্থিতিতে যদিও অনেক দাতা অর্থ সহায়তা দিচ্ছেন তবুও বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্কাল্পেলি গত মাসে বলেছিলেন, যা পাওয়া গেছে তা একেবারেই যথেষ্ট নয়
পাঠকের মতামত