উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
রোহিঙ্গাদের পুঁজি করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, অবৈধ বাণিজ্য এবং মাদক চোরাচালানে জড়িত থাকলে কাউকে রেহায় দেওয়া হবেনা। এই ব্যাপারে তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সার্বিক সহায়তার জন্য সচেতনমহল, জনপ্রতিনিধি, মিডিয়াকর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন র্যাব মহাপচিালক বেনজির আহমেদ।
কক্সবাজারের টেকনাফে আজ বৃহষ্পতিবার রোহিঙ্গাদের মাঝে র্যাবের পক্ষে ত্রাণ বিতরণ ও অস্থায়ী একটি র্যাব ক্যাম্প উদ্বোধন কালে র্যাব মহাপরিচালক এ আহ্বান জানান। তিনি এ সময় রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা ও সীমান্তে যাবতীয় অপরাধের বিরুদ্ধে সরকারের পাশাপাশি র্যাবের দায়িত্ব ও অবস্থান সম্পর্কে সাংবাদিকদের নিকট বিস্তারিত তুলে ধরেন।
আজ বৃহষ্পতিবার বিকালে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ টেকনাফের লেদা অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ সময় র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্ণেল আনোয়ার, র্যাব মিডিয়া উইং পরিচালক মুফতি মাহমুদ, র্যাব গোয়েন্দা শাখা পরিচালক লেঃ কর্ণেল মাহবুর রহমান, র্যাব-৭ অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মিফতাহ উদ্দিন, র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর রুহুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
র্যাবের মহাপরিচালক এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের রাখাইনে অত্যাচার-নিপীড়নের মুখে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীসহ সারা দেশের মানুষ মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরাও সাধ্যানুসারে ক্রোকারীজ ও শিশুদের স্বাস্থ্যসামগ্রী নিয়ে তাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।
তিনি জানান, এসবের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব সদস্যরা। মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের পর্যায়ক্রমে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় স্থানান্তর করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ যাতে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে সেই ব্যাপারে স্থানীয় জনসাধারণসহ সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
র্যাব মহাপরিচালক রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে এলাকার যানবাহন মালিক, চালক ও শ্রমিকদের সর্তক থাকার উপর গুরুত্বারোপ করেন। যদি রোহিঙ্গারা অপরাধ করে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। কেউ তাদের ছড়িয়ে দিতে অথবা পাচারের লক্ষ্যে আশ্রয় দিয়ে স্বার্থ হাসিল করলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত