বিএনপি বিদেশিদের কাছে কথায় কথায় নালিশ করলেও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা বিষয়ে কোনো কথা বলে না বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ শুক্রবার রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন ‘শুরু থেকেই এই সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।’
বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে নালিশ করে। কোথাও কী রোহিঙ্গাদের কথা বলেছে? গতকাল শুনলাম মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী বললেন তারা রোহিঙ্গাদের কিছু লোককে পুনর্বাসিত করবেন। এইভাবে বাংলাদেশে নিযুক্ত ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূতেরা তারা আশ্বাস দিয়েছে তারাও এই ব্যাপারে উদ্যোগ নিবে। এদের কাছে নালিশ করে, কিন্তু রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে একটা কথাও বলে না।’
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসায় কক্সবাজারের কুতুপালং শিবিরে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার নামে ফটোসেশন করেছিল বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া ও দলটির নেতারা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে বিএনপি এই রোহিঙ্গাদের নিয়ে কথা বলেনি। একদিনও বলেনি। এখন এই বিশ্ব সংকটে কথা বলে। ভাসানচরে পুনর্বাসনসহ তাদের জন্য কী না করেছে সরকার। সাড়ে ১১ লাখ লোক আমার ঘাড়ে, মাথার ওপর। এত কিছু করার পরেও তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে লিপ সার্ভিস দেয়। এখনো সরকার বিরোধী বিষোদ্গার করছে।’
১৫ আগস্টের ঘটনা প্রবাহ বর্ণনা করে কাদের বলেন, ‘কে জড়িত, কে জড়িত নয়, যখন তার বাড়িটি ঘেরাও করে, বঙ্গবন্ধু ওপরে উঠে গিয়ে কয়েকজনকে টেলিফোন করেছিলেন। তাদের মধ্যে সেনা কর্মকর্তা ও তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মী ছিলেন। কে সাড়া দিয়েছিল জানি না, শুধু জানি টেলিফোন যাদের করেছিলেন তাদের মধ্যে সাড়া দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল। তিনি ছাড়া আর কেউ ছুটে আসেনি বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে।’
কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যেমন তাঁর সহধর্মিণী সহযোগিতা করেছিলেন। ঠিক তেমনিভাবে শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।’
দেশবাসীকে আরও কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘আমরা কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা না। এই বৈশ্বিক বৈরী পরিস্থিতি আমরা সৃষ্টি করেনি। কিন্তু তারপরেও মূল্য দিতে হচ্ছ আমাদের।’
বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি ও সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।