দেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের নেটওয়ার্ক বন্ধ করতে, রোহিঙ্গারা যাতে বৈধভাবে মোবাইল সিম নিতে পারে, সেই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিটিআরসি বলছে, সরেজমিন ক্যাম্প পরিদর্শন করে রোহিঙ্গাদের সিম দেয়ার কারিগরি দিকের বিস্তারিত তুলে আনা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সবুজ সংকেত পেলেই সিম বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। এ উদ্যোগের ফলে অবৈধভাবে সিম ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের অপরাধমূলক কার্যক্রম বন্ধ এবং রোহিঙ্গাদের দ্রুত শনাক্ত করা যাবে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে বাস করছে। বিটিআরসি বলছে, বর্তমানে প্রতিটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১০ হাজার মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী রয়েছে। যারা একই সঙ্গে মিয়ানমার এবং স্থানীয়দের যোগসাজশে দেশীয় অপারেটরদের সিম নিচ্ছে। এতে সিম নিবন্ধনকারী এবং ব্যবহারকারী আলাদা ব্যক্তি হওয়ায় অপরাধ করেও অনেকেই পার পেয়ে যাচ্ছে।
এ অবস্থায় মিয়ানমারের নেটওয়ার্ক অকার্যকর ও রোহিঙ্গাদের কঠোর নজরদারিতে আনতে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে। এরই মধ্যে বিটিআরসির একটি কারিগরি কমিটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে সিম দেয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। অনুমতি পেলে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা থেকে রোহিঙ্গাদের দেয়া পরিবার প্রত্যয়নপত্র এবং ১২ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী প্রত্যেককে স্মার্ট আইডি কার্ডের বিপরীতে সিম দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বেড়েছে
পরিবার প্রত্যয়নপত্রে একটি অভিন্ন ফ্যামিলি কাউন্টিং নম্বর রয়েছে। যার মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারকে আলাদাভাবে শনাক্ত করা যায়। সেই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া নম্বর, পরিবার সদস্য সংখ্যা এবং পরিবারের সব সদস্যের নাম, ছবি, জন্মতারিখসহ নানা তথ্য রয়েছে। আর স্মার্টকার্ড আইডিতে স্মার্টকার্ড নাম্বার, ইউএনএইচসিআর থেকে দেয়া নম্বর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া নম্বর, এফসিএন নম্বর এবং নাম, জন্মতারিখ, পিতা ও মাতার নাম রয়েছে।
শুধু রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ নয়, ফেসবুক ও ইউটিউবকে পাশ কাটিয়ে আপত্তিকর কন্টেন্ট অপসারণে কার্যকর প্রযুক্তির খোঁজ চলছে বলে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, বিটিআরসি এ পর্যন্ত ২৬ হাজার পর্নোসাইট ও ৬ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছে।