রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে জন্মনিবন্ধন তৈরির সঙ্গে যুক্ত চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) ভোর ৩টার দিকে কক্সবাজারের লিংক রোড এলাকায় বাস থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ অ্যান্ড মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।
গ্রেফতাররা হলেন, জয়পুরহাট জেলার কালাই থানার বানদিঘী এলাকার হাদি সরকারের ছেলে মো. সবুজ সরকার (৫২), কক্সবাজারের উখিয়ার ক্যাম্প-২ই-এ, ব্লক-এ/৫, (হেড মাঝি-কাসেম মিয়া, ব্লক মাঝি- শুক্কুর আলি) বাসিন্দা মৃত শাখের মোহাম্মদের দুই মেয়ে মোছা. খালেদা বেগম (২৩) (এফসিএন নং-১৪২১৫৫) এবং মোছা. নূর বেগম রুমা (২৪) (এফসিএন নং-১৪২১৫৫)।
র্যাব কর্মকর্তা মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদে খবর আসে কতিপয় মাদক কারবারী মাদকদ্রব্য বহন করে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার শহরের দিকে আসছে।
এ সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের লিংক রোড এলাকায় ওয়েডিং পার্ক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সড়কে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসা র্যাব। তল্লাশি অভিযানকালে একটি সিএনজি গাড়ি চেকপোস্টের সামনে এলে গাড়ির পেছনের সিটে বসে থাকা যাত্রীরা র্যাবের উপস্থিতি দেখে কৌশলে পালানোর চেষ্টা করে। তখনই আভিযানিক দল সবুজ সরকার, খালেদা বেগম ও নূর বেগম রুমাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও জানান, ধৃত সবুজের হাতে থাকা একটি কাগজের ফাইল তল্লাশি করে ৩টি ভিন্ন ভিন্ন নামে জন্মনিবন্ধন কার্ড, ১টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, ১টি বাটন মোবাইল ফোন ও ৩টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানান, তারা বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েও সবুজ সরকারের সহায়তায় পরিচয় গোপন করে অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা তথ্যে বেআইনিভাবে জাল জন্ম নিবন্ধন তৈরি করেন ও প্রতারণার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে আসছেন। মূলত প্রতারণার উদ্দেশ্যে তারা ভূয়া জন্মনিবন্ধনকে সত্য বলে সরবরাহ ও ব্যবহার করতেন।
উদ্ধার মালামালসহ গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
পাঠকের মতামত