দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিকভাবে অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে চলমান মামলাকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করে ইইউ।
বুধবার (২৪ আগস্ট) রোহিঙ্গা সংকটের পাঁচ বছর উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইইউ তাদের অবস্থান ব্যক্ত করে।
ইইউর ভাইস প্রেসিডেন্ট বোরেল, কমিশনার লেনারিচ এবং উরপিলাইনেনের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ইইউ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের নিজ ভূমিতে নিরাপদ, টেকসই, মর্যাদাপূর্ণ এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনকে সমর্থন করে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের সম্পূর্ণ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের স্বাধীন তদন্তকারী ব্যবস্থার কাজকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিচ্ছে ইইউ। রাখাইন রাজ্যে লাখ লাখ রোহিঙ্গার নির্যাতনসহ এ দীর্ঘস্থায়ী সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলায় আন্তর্জাতিকভাবে অগ্রাধিকার হতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইইউ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাজকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধসহ ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এসব অপরাধের জবাবদিহিতা প্রয়োজন। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য দায়ী জান্তারাই বর্তমান মিয়ানমারের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ইইউ গত বছর অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দার পুনরাবৃত্তি করছে। ইইউ রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুসহ মিয়ানমারের সকল জনগণ এবং তাদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কয়েক দশক ধরে রোহিঙ্গাদের দেখাশোনা করছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে আশ্রয় নেওয়াসহ প্রায় এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পাঁচ বছর পরে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার পরও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন না করতে পারায় তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।