শহীদুল্লাহ ফরায়জী [caption id="attachment_101279" align="alignleft" width="863"] রোহিঙ্গা[/caption]
রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশের জন্য খুব বিপজ্জনক। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার প্রয়োজনে রোহিঙ্গা শরণার্থী দ্রুত প্রত্যাবাসন অত্যন্ত জরুরি। আর সেই প্রত্যাবাসনে ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র অস্থিতিশীল হবার চরম ঝুঁকিতে পড়বে। আঞ্চলিক রাজনীতিতে রোহিঙ্গা ইস্যু শুধুমাত্র কোনো ‘মানবিক’ এবং ‘ত্রাণে’র ইস্যু নয় বরং আঞ্চলিক পরাশক্তির ‘খেলা’। আঞ্চলিক পরাশক্তির খেলার শিকার হয়ে অনেক রাষ্ট্র ‘বিরান ভূমি’ হয়ে গেছে। আমাদের ‘আত্মরক্ষা’র কৌশল বিবেচনায় নিয়েই আমাদের রাজনীতি নির্ধারণ করতে হবে।
সুতরাং আন্তর্জাতিক মতৈক্যের ভিত্তিতে বিশ্বশক্তি এবং চীন ভারতকে সম্পৃক্ত করে দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ‘রোডম্যাপ’ গ্রহণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোগ ?গ্রহণ করতে হবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ আঞ্চলিক রাজনীতিতে ‘নিঃসঙ্গ’ ও ‘বন্ধুহীন’ হয়ে পড়েছে। যে মিয়ানমার গণহত্যা, মানবাধিকার লংঘন, মুসলিম ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিধনের ভয়ঙ্কর অভিযোগে অভিযুক্ত এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বিচারাধীন সেই মিয়ানমারকে আঞ্চলিক শক্তি ও রাষ্ট্রসমূহ সমর্থন দিচ্ছে, যেখানে মিয়ানমারে এখনো সংখ্যালঘু সমপ্রদায় প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রীয় মদতে সহিংসতা ও সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে।
‘গণহত্যাকারী’ দেশের প্রতি সমর্থন গণহত্যাকে বৈধতা দেবার নামান্তর যা বিশ্ববাসীকে হতবাক ও বেদনার্ত করেছে।
অপরদিকে এক মিলিয়ন এর অধিক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের কয়েক বছর ধরে আশ্রয় দিয়ে এবং ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত’কে চরম ঝুঁকিতে ফেলেও আঞ্চলিক শক্তি ও রাষ্ট্রসমূহের সমর্থন আদায়ে আমরা নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বাইরে চীন, ভারত, ভুটান, নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, জাপান, কোরিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ আঞ্চলিক ও বন্ধুরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ পাশে পায়নি।
এটা আমাদের জন্য ‘মহাবিপর্যয়ে’র ইঙ্গিত প্রদান করে। আঞ্চলিক রাজনীতির কোনো কারণ ছাড়া সকল প্রতিবেশী হঠাৎ করে বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে এটা কল্পনাও করা যায় না। আঞ্চলিক শক্তিসমূহের ‘অভিপ্রায়’ অনুসন্ধান করে আমাদের রাষ্ট্রীয় রাজনীতি পুনঃবিন্যাস করা প্রয়োজন।
আজকের বিশ্বে এমন কোনো রাষ্ট্র নেই যার আঞ্চলিক রাজনীতিতে কোনো বন্ধু নেই। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের ‘জাতীয় নিরাপত্তা’র প্রশ্নটি সম্পৃক্ত করে সকল কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কৌশলগত গভীর মিত্রতা স্থাপনকারী রাষ্ট্রসমূহ রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন না দেয়ার প্রশ্নে সরকার কোনো উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বা আপত্তি প্রকাশ করেনি, এমনকি কোনো প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেনি। যা খুবই দুঃখজনক।
রোহিঙ্গা ইস্যু দীর্ঘস্থায়ী হলে সুদূরপ্রসারী কী প্রভাব পড়বে এবং বাংলাদেশকে কী মূল্য দিতে হবে তা বিবেচনায় না নিলে সাংঘাতিক বিপদজ্জনক অবস্থা তৈরি করবে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অনিশ্চিত হয়ে পড়লে অদূর ভবিষ্যতে (১) রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বেড়ে কয়েক মিলিয়ন হবে, (২) এই বর্ধিত জনসংখ্যার স্থায়ী বাসস্থান এর প্রশ্নে আরো বৃহত্তর ভূখণ্ডকে বরাদ্দ করতে হবে, (৩) বিশ্ব রাজনীতির ‘ফোকাস’ থেকে রোহিঙ্গা ইস্যু যখন সরে যাবে এবং ত্রাণ সরবরাহ কমে যাবে তখন উদ্বাস্তুদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে, এবং (৪) কয়েক মিলিয়ন উদ্বাস্তু সহিংস হয়ে সমগ্র বাংলাদেশকে সংঘাতপ্রবণ করার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক রাজনীতির মেরুকরণে বাংলাদেশ শোচনীয় পর্যায়ে পড়তে পারে। রোহিঙ্গা ইস্যু যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য সীমাহীন এবং অন্তহীন সংকট, আমরা তা আমলে নিচ্ছি না।
রোহিঙ্গা ইস্যুকে সরকার ভূ-আঞ্চলিক রাজনৈতিক চোখে দেখেনি, যা ভবিষ্যতে ‘লজ্জাজনক’ দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে প্রতিভাত হবে।
‘অস্থায়ী’ রোহিঙ্গাদের জন্য ‘স্থায়ী বাসস্থান’ নির্মাণে সরকারের কৌশলগত পদক্ষেপ একেবারেই ‘অপরিণামদর্শী’। এতে বিশ্ববাসী নিশ্চিত হয়েছে যে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ‘দীর্ঘস্থায়ী আশ্রয়’ দিতে আগ্রহী ও সম্মত।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৩টি বিষয়ে সরকার দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে (১) বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের ‘আশ্রয় ও ঝুঁকি’র বিনিময়ে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা, (২) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ওআইসিসহ ইসলামী বিশ্বের সমর্থন আদায় করা, (৩) মানবিক সাহায্য ও ত্রাণ এর প্রশ্নে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত করা।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ছাড়া রাষ্ট্র ‘দীর্ঘস্থায়ী সংকট’ ও ঝুঁকিতে পড়বে, এটা সরকার উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে তা হবে আমাদের আত্মবিনাশের নামান্তর।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আঞ্চলিক মিত্ররা বাংলাদেশের পাশে না দাঁড়ানো এবং উদ্বাস্তুদের গ্রহণ ও আশ্রয়ের কৌশলের কারণে (১ ) যেকোনো সুযোগে মিয়ানমার মুসলিমসহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাস্তুচ্যুত করে আরো শরণার্থী বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ায় উৎসাহী হতে পারে, (২ ) প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং ‘বাঙালি’ খেদাও’র পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশকে বাস্তুচ্যুতদের ‘আশ্রয়স্থল’ হিসেবে বেছে নিতে পারে, (৩) এই অঞ্চলে আঞ্চলিক পরাশক্তির রাজনৈতিক ক্ষমতার বলয় বৃদ্ধির দ্বন্দ্বে যে কোন উচ্চাভিলাষী শক্তি যেকোনো মুহূর্তে আগ্রাসীমূলক হয়ে ‘সীমান্ত অতিক্রম’ করতে পারে।
নিকট অতীতে দেখা যায় উত্তর ও দক্ষিণ ভিয়েতনামের এক হওয়াকে কেন্দ্র করে মার্কিন এবং উত্তর ভিয়েতনামের যুদ্ধে দুর্ভাগ্যবশত কম্বোডিয়ার মতো সামরিক শক্তিহীন দেশ জড়িয়ে পড়েছিল। উত্তর ভিয়েতনাম মার্কিন সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সামরিক পদক্ষেপ নিলো। উত্তর ভিয়েতনামকে সহযোগিতা করা ছাড়া প্রিন্স সিহানুকের আর কোনো উপায় ছিল না। প্রেসিডেন্ট নিক্সন সেই যুদ্ধটাকে কম্বোডিয়া পর্যন্ত বিস্তার করলেন। গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লো, এককালের শান্তিপূর্ণ কম্বোডিয়া ধ্বংস হয়ে গেল। এভাবে গৃহযুদ্ধ লেবাননকেও ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছে।
আঞ্চলিক পরাশক্তির অবস্থান বা নীতি যেকোনো মুহূর্তে পরিবর্তন হতে পারে।
এ অঞ্চলের বাস্তুচ্যুত উদ্বাস্তুদের ‘নিরাপদ’ এবং আশ্রয়ের স্থায়ী ‘কেন্দ্র’ হিসাবে বাংলাদেশকে নির্ধারিত করার সুযোগ দেয়া হবে আমাদের জন্য ‘ঐতিহাসিক ভুল’।
ক্ষমতার চশমা দিয়ে অদূরদর্শী সরকার রোহিঙ্গা সংকটের ‘গভীর সত্য’ দেখতে ব্যর্থ হচ্ছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের প্রস্তাবিত রেজুলেশনে ভারত ‘অনুপস্থিত’ থাকলেও দু’দিন পরেই ‘দৈনিক আনন্দবাজার’ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে বলা হয় সমুদ্রপথে ঢাকার সঙ্গে জোট চায় দিল্লি। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক সংযোগের পাশাপাশি কৌশলগত ক্ষেত্রেও সমঝোতা গভীর করতে চায় ভারত। জোট বাঁধতে চায় সমুদ্রপথেও।
ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক, সামরিক ও কৌশলগত গভীর সমঝোতা চায়। অথচ বাংলাদেশ একবারও এজেন্ডা উত্থাপন করছেনা যে (১) বাংলাদেশে অবস্থানরত এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন না করলে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা দারুণভাবে হুমকিতে পড়বে, (২) গণহত্যাকারী মিয়ানমারের পক্ষে ভারত সমর্থন অব্যাহত রাখলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা অনিশ্চিত হবে।
বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকটকে যে কেবলমাত্র ‘মানবিক’ এবং ‘ত্রাণে’র ইস্যু হিসেবে গ্রহণ করে ফেলেছে তা আঞ্চলিক রাষ্ট্রসমূহ নিশ্চিত হবার পর সবাই মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের নয়। বাংলাদেশ বিদ্যমান বাস্তবতায় বিশ্বের যেকোনো স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের চেয়ে বেশি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে ‘বন্ধুহীন’।
সরকারের সবচেয়ে বড় অংশীদার চীন, ভারত, জাপান, রাশিয়া সহ কোনো বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের সঙ্গেই আমাদের ‘জাতীয় নিরাপত্তা’র এজেন্ডা প্রাধান্য পাচ্ছে না। ফলে আঞ্চলিক কোনো রাষ্ট্র মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রশ্নে কোনো ঝুঁকি নিতে পারেনি কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সবাই পেরেছে। আঞ্চলিক রাষ্ট্রসমূহ জানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে না দাঁড়ালেও বাংলাদেশ প্রতিবাদ করবে না, আপত্তি জানাবে না, কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করবে না, এমনকি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কোনোকিছুতে প্রভাব পড়বে না। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ তার আচরণে এসব যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে।
জাতিসংঘের উত্থাপিত প্রস্তাবে ভারতের ‘অনুপস্থিতি’র দগদগে ক্ষত থাকতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকে চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ যে তাদের প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিজয়ের মাসে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। আমাদের বিজয় ভারতেরও বিজয়।
আমাদের বিজয় মানে ভারতের বিজয় কিন্তু আমাদের বিপদ মানে ভারতের বিপদ, এটা নিশ্চিত হলে নিশ্চয়ই রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বারবার মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করতো না।
আত্মমর্যাদা এবং জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে বিদেশনীতি অনুসরণ করার ক্ষেত্রে ‘জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নটি’কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। বন্ধুত্বের ছদ্মবেশে কারা বাংলাদেশের প্রতি ‘শত্রুভাবাপন্ন’ তাও বাংলাদেশকে বিবেচনায় রাখতে হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা’র প্রশ্নকে আঞ্চলিক রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না করে আমরা যে মূলত ‘প্রতিরক্ষাবিহীন’ দেশে রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছি তা আঞ্চলিক শক্তিসমূহ বুঝে ফেলেছে কিন্তু আমরা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছি।
সুতরাং বাংলাদেশকে নিয়ে যারা খেলার পরিকল্পনা করছে তারা ভবিষ্যতে পূর্বপরিকল্পিত যুদ্ধের বিশ্বাসযোগ্য কোনো ‘অজুহাত’ সৃষ্টি করে বাংলাদেশে সামরিক শক্তি প্রয়োগের পাঁয়তারা করতে পারে।
রোহিঙ্গা বা উদ্বাস্তু সমস্যায় আঞ্চলিক এবং বৃহৎ শক্তির দ্বন্দ্বে বাংলাদেশ যদি ভবিষ্যতে কখনো সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে তখন আমাদের দেশরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সমগ্র জাতিকে এগিয়ে ’৭১ সালের মত স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
৭১-এ স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতকে বন্ধু হিসেবে কাছে পাওয়া গিয়েছিল, কিন্তু বিরাজিত বিশ্ব বাস্তবতায় সম্ভাব্য সংঘাতময় পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী দেশকে আগের মতো বন্ধু হিসেবে পাওয়া দুরাশা মাত্র।
সেই বিবেচনায় অন্যান্য বহু দেশের ন্যায় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশের প্রাপ্তবয়স্ক সকল নাগরিককে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। পৃথিবীতে যোগ্যতর দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার জন্য বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারের কাছে আন্তঃরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে উদারতা একটি ‘গুণ’ মনে হলেও রাষ্ট্রের জন্য তা ভয়ঙ্কর হতে পারে।
সরকারের ‘উদারতা’ কোনো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দখলদারিত্বের চরম মাত্রার পদক্ষেপকে নিবারণ করতে পারেনা। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে ‘অরক্ষিত’ রেখে কোনো কূটনীতি ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেনা।
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সংহত করতে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে এটাই জাতির ন্যায় সঙ্গত প্রত্যাশা।
লেখক: শহীদুল্লাহ ফরায়জী
গীতিকার
[email protected]