কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো মানুষ পাচার, মাদক চোরাচালান ও জঙ্গি নিয়োগসহ নানা অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে তারা বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে, কর্মসংস্থান করছে। আর তাদের কারণে স্থানীয়দের জীবন অতিষ্ঠপ্রায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিসকে এসব কথা বলেছেন।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিসের সঙ্গে এক বৈঠকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আজ শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, হাছান মাহমুদ একই দিন মিয়ানমার বিষয়ে মহাসচিবের বিশেষ দূত, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার এবং জাতিসংঘের ছয় উন্নয়ন সংস্থার প্রধানের সঙ্গে পৃথক চারটি বৈঠক করেন।
সব বৈঠকে তিনি বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন ও রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাত নিরসনের আন্তর্জাতিক সমন্বিত উদ্যোগের ওপর জোর দেন।
মন্ত্রী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এবং অন্য অংশীদারদের সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জোর আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের পাশাপাশি গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রায় ৭৫০ সদস্য বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে, বাকিরাও ফেরত প্রক্রিয়ায় আছে। শুধু তা–ই নয়, মিয়ানমারে বিবদমান গোষ্ঠীর শেল বাংলাদেশ অংশে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এসবের পুনরাবৃত্তি রোধ একান্ত প্রয়োজন।
মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপের সঙ্গে বৈঠকে হাছান মাহমুদ বলেন, মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতি কোনো নতুন ঘটনা নয়। এটিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিপক্ষে ব্যবহারের অজুহাত তৈরির সুযোগ দেওয়া অনুচিত।