বাংলাদেশ আর্মড পুলিশের ডিআইজি (এফডিএমএন এন্ড এয়ার পোর্টস) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহীল বাকী বলেছেন, উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে কোন ধরনের অপরাধ দমন, অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার এবং রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যদের কে গ্রেফতারে এপিবিএন পুলিশকে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে আরও কঠোর অ্যাকশনে যেতে হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাধারণ রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা জোরদার ও শান্তিপূর্ণ বসবাসে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, “রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যা, খুন গুম, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় বন্ধে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে এপিবিএন পুলিশ, জেলা পুলিশ, বিজিবি এবং র্যা ব যৌথভাবে বিশেষ কম্বিং অভিযান শুরু করা হয়েছে। বিভিন্ন আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে এই ধরনের যৌথ অভিযান অপরাধ দমনে নিঃসন্দেহে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
বুধবার (৩০ আগষ্ট) কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে রোহিঙ্গা শরনার্থী নিয়ে কাজ করা সরকারী, বেসরকারী ও আর্ন্তজাতিক সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ আর্মড পুলিশের ডিআইজি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি (এফডিএমএন) এস এম ফজলুর রহমান, ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোঃ আমির জাফর, ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোঃ ইকবাল, ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোঃ হাসান বারী নূর, এপিবিএন পুলিশের সহ-অধিনায়কগণ, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলামসহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
উক্ত সভায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রনে ফলপ্রসূভাবে একসাথে কাজ করার বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা হয়।