কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও)’র সংঘর্ষে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও ৫ জন।
নিহত যুবকের নাম মোহাম্মদ ইউনুস। সে কুতুপালং ৪ নম্বর ক্যাম্পের ই/১৫ ব্লকের নুর মুহাম্মদের ছেলে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, ৩ নম্বর ক্যাম্পের ডি/৪৮ ব্লকের জয়নালের ছেলে সৈয়দুল্লাহ (১৫) ও একই ব্লকের নুরুল আমিনের মেয়ে নুর সিতারা। তাৎক্ষণিক ভাবে বাকীদের পরিচয় জানা যায়নি।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জনান উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন।
তিনি বলেন, রাতে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে আরসা ও আরএসওর লোকজন অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। গোলাগুলিতে মোহাম্মদ ইউনুস নামের এক রোহিঙ্গা যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। এ ঘটনায় আরও ৪/৫ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে আইএমও হাসাপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি হয় বলে জানা গেছে। তারপরও কারা, কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। নিহত রোহিঙ্গা যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।